বেশ কিছুটা সময় আগেই সারা বিশ্বে একরকম হইচই পড়ে যায়, সৌদি আরব ঘোষণা করে তাদের লেটেস্ট শহর নিওমের। সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান তার ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় মরুভূমির মাঝে এক শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন। শহরটির তৈরীর জন্য বেছে নেওয়া হয় লোহিত সাগর এবং তার নিকটের উপকূলবর্তী এলাকা।
গত ২০১৭ সালেই সৌদি আরব তাদের ভবিষ্যতের শহর ‘নিওম দ্য লাইন’ নির্মাণ করা শুরু করে। ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছিল এই নতুন মডার্ন শহর। এই শহর গড়ে তোলার জন্য বেছে নেওয়া হয় জর্ডান থেকে মিশর পর্যন্ত কিছু এলাকা। সেই এলাকা একত্রিত করেই নিওম গড়ে ওঠার কথা। উল্লেখ্য, সৌদির যুবরাজ চান, দেশের অর্থনীতি তেল থেকে সরিয়ে অন্য জিনিসে নিয়ে আসা হোক।
কেমন ছিল MBS এর স্বপ্ন?
শুরুর দিকে নিওম শহরের তৈরি হওয়ার কথা ছিল ১০৫ মাইল লম্বা। আল্ট্রা মডার্ন শহর হিসেবে গড়ে উঠছিল এটি। কিন্তু এখন অর্থসংকটের কারণে মাত্র ১.৫ মাইলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে শহরটিকে। যেখানে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই শহরে ১৫ লক্ষ মানুষের বসবাস করার কথা ছিল সেখানে এই শহরে থাকতে পারবে ৩ লক্ষ মানুষ। অর্থ সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে কাজ।
কেমন অবস্থায় রয়েছে নিওম?
এই শহরে কাজ বন্ধ হয়েছে, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মরত কর্মচারীদের। তাই আপাতত এক প্রকল্পকে শেষ করা সৌদি আরবের মাথা ব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও অনেকেই মনে করছেন যে, হঠাৎ থমকে গেলেও এই পরিবর্তনকে ভিশন ২০৩০ এর ব্যর্থতা হিসেবে দেখা উচিৎ না।
কি ছিল নিওম শহরের মূল পরিকল্পনা?
সৌদি সরকারের পরিকল্পনা ছিল, একটি মেগাসিটি তৈরি করার। এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। শহরটি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পুরপুরি তৈরি হয়ে যাওযার কথা ছিল। এছাড়া পরিকল্পনা ছিল এই শহরকে সিলিকন ভ্যালির মতো টেকহাবে পরিণত করতে। বর্তমানে অর্থাভাবের কারণে সারাবিশ্বের কাছে সৌদি সরকার সারাবিশ্বের কাছে ঋণ চাইছে।