সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানের (Pakistan) চলতি অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ভরাডুবির চিহ্ন! প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকারের এখন দিশেহারা অবস্থা! আর সম্প্রতি বাজেটকে কেন্দ্র করে সংসদের বাইরে এবং ভিতরে, দুই জায়গাতেই চলছে জোর জল্পনা। এমনকি বেশ কিছু সংস্থা বলছে, এই বাজেট পাস হলে তা হবে পাকিস্তানীদের জন্য চরম অবিচার! আর এখানেই জন্ম নিচ্ছে ক্ষোভ ও উদ্বেগ।
পাঁচ মিনিটে ভেঙে পড়বে সরকার
এদিন শেহবাজ শরীফে শরিক দল পিপিপি’র সাংসদ নাবিল গবল সংসদে দাঁড়িয়ে সাফ বলেছেন যে, পিপিপি’র 70টি ভোটের জেরেই সরকার দাঁড়িয়ে রয়েছে। চাইলে মাত্র 5 মিনিটেই ভেঙে ফেলা যেতে পারে এই সরকারকে। আর এই মন্তব্যই স্পষ্ট উঠে আসছে যে, সরকার এখন কার্যত শরিকদের দান ভিক্ষায় চলছে।
সূত্রের খবর, বাজেটে যে কর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তাতে ছোট ব্যবসায়ীরা সবথেকে বেশি বিপাকে পড়বে। বিশেষ করে নতুন এক ধারা নিয়ে আসা হয়েছে। হ্যাঁ, 114C অনুযায়ী ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউর হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, যা সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন।
বলে রাখি, নয়া বাজেটে 18% কর বসানো হয়েছে সৌর প্যানেলের উপর, যা পরিবেশবান্ধব শক্তির উপরেও বিরাট ধাক্কা দেবে। এমনকি সিন্ধু প্রদেশ, বিশেষ করে করাচিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি সুক্কুর-হায়দ্রাবাদ মহাসড়ক প্রকল্পেও খুব সামান্য পরিমাণে বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এ নিয়েই স্থানীয়রা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে চাল-গম ঠিকঠাক পাচ্ছেন তো? রেশন দোকানে গিয়ে জেরা করবে রাজ্য সরকার!
অর্থ সংকটেও প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ল 20%
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা, মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্বের মত সমস্যাগুলির জেরে একদিকে ধুঁকছে পাকিস্তান। তবে এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে 20% বাজেট বাড়ানো হয়েছে। হ্যাঁ, নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2.85 ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে এবার প্রতিরক্ষা খাতের জন্য।
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও সীমান্তের সংঘর্ষে জেরেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছে, জনস্বার্থের বদলে সরকার সেনা খাতে কেন এত বরাদ্দ করছে? সমস্ত উত্তর ভবিষ্যতেই বলা যাবে।