রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-হামাস কিংবা ইজরায়েল-ইরানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশ্বেই একটা চাপা উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে আশঙ্কা করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের। সত্যিই কি আরও একটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী থাকতে চলেছেন মানুষ? আর যদি এই যুদ্ধ বাঁধলেও কোন কোন দেশ সুরক্ষিত থাকবে জানেন?
বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধের ভয়ানক ছাপ গোটা বিশ্বেই পড়েছিল। এখনও অবধি এই দুই যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা ভাবলেই শিউরে ওঠেন অনেকে। এদিকে অনেকেরই আশঙ্কা, আবারও এক বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলেও বাঁধতে পারে। কিন্তু এহেন অবস্থায় একটা প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। আর সেটা হল যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধে তাহলে কোন দেশ সুরক্ষিত থাকবে? ভারতের অবস্থাই বা কী হবে জানেন? তাহলে ঝটপট পড়ে ফেলুন এই প্রতিবেদনটি।
আর্জেন্টিনা
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিকে পরমাণু যুদ্ধের পর টিকে থাকার জন্য অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরমাণু হামলা কৃষিতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। তবে, গমের মতো প্রতিরোধী ফসল প্রচুর পরিমাণে এখানে ফলন হয় যা এটিকে একটি নিরাপদ দেশ করে তোলে।
ফিজি
যুদ্ধ শুরু হলেও ফিজি একটা সেরা বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এখান থেকে নিকটতম দেশ অস্ট্রেলিয়া। উভয় জায়গার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪৩৪৫ কিলোমিটার। যদি কোনওদিন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুও হয় তাহলেও ঘন জঙ্গলে ঘেরা ফিজি নিরাপদে থাকার জন্য উপযুক্ত।
আন্টার্কটিকা
আন্টার্কটিকা একটি মহাদেশ। এই অ্যান্টার্কটিকা তার পর্যটন, সুন্দর দৃশ্য এবং তুষারপাতের জন্য পরিচিত। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে এই মহাদেশে এর প্রভাব খুব কম পড়বে।
চিলি
আর্জেন্টিনার প্রতিবেশী দেশ চিলিও বিভিন্ন ধরনের শস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নের স্তর চিলিতে সেরা। এই সমস্ত জিনিসগুলি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে এটি বেশ নিরাপদ করে তোলে।
ভুটান
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা পরমাণু হামলা হলে সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় আসে ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভুটান। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে যোগদানের পর ভুটান ঘোষণা করে যে, কোনও বিরোধ হলেও ভুটান নিজেকে নিরপেক্ষ রাখবে। বিশ্ব শান্তি সূচকে ভুটানের অবস্থানও ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মতো অবস্থা হবে মলদ্বীপেরও! বড় ঝটকা দিয়ে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল ভারত
এছাড়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলেও যে দেশগুলোর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না সেগুলো হল গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড ও তাওয়ালু।