বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সাথে সংঘর্ষে পাকিস্তানকে একেবারে দু’হাত তুলে সমর্থন করেছিল আজারবাইজান। ফলত, তুরস্কের মতোই ভারতীয় পর্যটকদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল এই মুসলিম দেশটিকে।
তবে ভারতের সাথে সরাসরি বাণিজ্য বন্ধ না হলেও দেশবাসীর বয়কটের আবহে বুকের ধুকপুকুনি বেড়ে গিয়েছে বাকুর। আপাতত যা খবর, ভারত (India) বিরোধী পাকিস্তানকে খোলাখুলি সমর্থন করে মুখে না বললেও ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের আশঙ্কায় চিন্তা বেড়েছে আজারবাইজানের।
বড় বড় বাতেলা ঝারছে আজারবাইজান!
বুক উঁচিয়ে চিৎকার করলেও পাকিস্তানকে সমর্থন করে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয় কাঁপছে আজারবাইজান। যদিও সেই ভয় আড়ালে রেখে সম্প্রতি বাকুর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফাহাদ মাম্মাদভ একেবারে বেয়াক্কেল মন্তব্য করে বসেছেন। সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ফাহাদ জানান, ভারত যদি আমাদের থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তবুও আজারবাইজানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের এমন বক্তব্যের মাঝে যে যথেষ্ট ভয় লুকিয়ে রয়েছে তা বুঝে গিয়েছেন অনেকেই। এদিন আজারবাইজানের ওই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এও বলেছেন, ভারত পাকিস্তানের মতো দেশগুলির ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য নাকি আজারবাইজান কূটনৈতিক পরিধি বাড়াচ্ছে। ওই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, পাকিস্তানের বন্ধুদের দোষারোপ করার চেষ্টা করবেন না। আর এসবের মাঝেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, দিল্লির পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কায় কাঁপছে বাকু।
ভারত কি আজারবাইজানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ?
পাকিস্তানের সমর্থনকারী দেশ তুরস্ক, আজারবাইজান সহ অন্যান্যদের থেকে আদতেই দূরত্ব বজায় রেখেছে ভারত। তবে যদি প্রসঙ্গ ওঠে বাণিজ্যিক সম্পর্কের, সেক্ষেত্রে এখনই যে এ সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ দিল্লি নেবে না তা বোঝাই যাচ্ছে। কেননা, একেবারে খোলা ময়দানে নানান যুদ্ধাস্ত্র সহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সমর্থনের পরও তুরস্কের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রেখেছে ভারত।
যদিও এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, তুরস্কের মতো দেশের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করলে ওদেশের ক্ষতি তো হবেই সেই সাথে, চরম বিপদে পড়বেন ভারতের রপ্তানিকারকরাও। কাজেই বোঝাই যায়, আপাতত আজারবাইজান বা তুরস্কের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে না ভারত। তবে আগামী দিনে কী হয়, তার উত্তর দেবে সময়। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের তরফে ক্যাম্পিয়ন দেশগুলি থেকে বিলিয়ন ডলারের তেল আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার ইঙ্গিত পেতেই বাণিজ্য বন্ধের ভয় কাঁপছে আজারবাইজান।
অবশ্যই পড়ুন: টেস্টে বিশ্বজয় করে কত পেল দক্ষিণ আফ্রিকা, অজিদের হাতে ক কোটি? ভারতও পেল প্রাইজ মানি
উল্লেখ্য, ভারত ও আজারবাইজান প্রতিবছর অন্তত 1 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য সম্পন্ন করে। আসলে বাকু থেকে তেল কেনার মাধ্যমে ওদেশের অর্থনীতি আপাতত চাঙ্গা রয়েছে বলেই মনে করেন বহু অর্থনীতিবিদ। তবে ভারতের তেল ক্রয়ের বিনিময়ে অর্থের পাশাপাশি এদেশ থেকেও একাধিক প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি করে থাকে পাক বন্ধু আজারবাইজান।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |