সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ 19 বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করেছে কুয়েত (Kuwait Visa)! হ্যাঁ, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে শুধু গতি আনবে না, বরং হাজার হাজার পাকিস্তানির জন্য নতুন কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেবে। তবে কেনই বা ভিসা বন্ধ ছিল, আর কেনই বা চালু করা হল? চলুন একটু খতিয়ে দেখি আজকের প্রতিবেদনে।
2005 সাল থেকেই বন্ধ ছিল কুয়েতের দরজা
বলে রাখি, 2005 সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল কুয়েত সরকার। এর ফলে বহু পাকিস্তানি পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারভিত্তিক ভিসা বা কাজের জন্য ভিসা কিংবা বাণিজ্যিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেনি। তবে সম্প্রতি কুয়েত সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আর এতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল পশ্চিম দিকের এই সন্ত্রাসের দেশ।
কুয়েতে চাকরি পাচ্ছে পাকিস্তানি নার্স এবং শ্রমিকরা
সম্প্রতি এক বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুয়েত বর্তমানে দক্ষ পেশজীবিদের সংকটে ধুঁকছে। আর এই মুহূর্তে দেশের স্বাস্থ্য, তেল বা নির্মাণ খাতে বিরাট চাহিদা বাড়ছে। যার জেরে কুয়েত সরকার একপ্রকার বাধ্য হয়ে পাকিস্তান থেকে 1200 নার্স নিয়োগ করছে। এমনকি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বাইরে দক্ষ শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদদের জন্যও কর্মসংস্থানের দরজা খুলে গিয়েছে।
বর্তমানে কোন কোন ভিসা পাওয়া যাবে?
বলে রাখি, কুয়েতের তরফে এখন পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা, পারিবারিক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বাণিজ্যিক ভিসা এবং ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর এই ভিসাগুলির জন্য এখন কুয়েত সরকারের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আন্দামানে বিরাট তেলের ভান্ডার খুঁজে পেল ONGC! বদলে যাবে ভারতের ভাগ্য
পাকিস্তানে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ডঃ জাফর ইকবাল এই সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানিয়ে বলেছেন, এই ভিসা চালু হওয়ার ফলে শুধুমাত্র কুয়েতের শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ হবে না, বরং পাকিস্তানের হাজার হাজার পরিবারের উপকৃত হবে। আর দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি এই দুই দেশ একটি নতুন শ্রম চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেছে। আর এই চুক্তির মাধ্যমে কুয়েতে কর্মরত পাকিস্তানের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত করা হবে এবং শ্রম অভিবাসনের কাঠামোগত রূপও দেওয়া হবে। এখন দেখার কতটা কি হয়।