সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এবার নতুন মোড় নিচ্ছে! কিছুদিন আগে তুরস্ক ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল। আর এখন ভারতের তরফ থেকে কৌশলগত জবাব (India on Turkey) দেওয়ার পালা! হ্যাঁ, এই প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রে রয়েছে তুরস্কের প্রাক্তন প্রতিপক্ষ গ্রিস ও সাইপ্রাস।
সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিডি বক্শী জানিয়েছেন, তুরস্কের এই আচরণের পরিণাম তারা হাতেনাতে ভোগ করবে। তিনি বলেছেন, তুরস্ক পাকিস্তানকে অস্ত্র দিলে ভারতও তুরস্ক বিরোধী শক্তিগুলোকে সমর্থন করবে। আর গ্রিস এবং সাইপ্রাসের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করাই এখন ভারতের মূল লক্ষ্য হওয়া দরকার।
ভারতের হাতিয়ার প্রস্তুত
সম্প্রতি বিদেশের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিডি বক্শী বলেছেন, গ্রীস চাইলে ভারতের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পিনাকা মাল্টিপল রকেট লঞ্চার কিনতে পারে। তার মতে, এই অস্ত্রগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে ফেলেছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ভারতের তৈরি আটটি ট্যাঙ্ক বর্তমানে অত্যাধুনিক কামান সিস্টেমে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। আর ভবিষ্যতে যদি তুরস্কের সঙ্গে গ্রীস বা সাইপ্রাসের কোনোরকম সামরিক সংঘাত লাগে, তাহলে ভারতের এই অস্ত্রগুলোই হতে পারে তুরস্কের বিপক্ষে সবথেকে বড় গেম চেঞ্জার।
অপারেশন সিঁদুর ও ভারতের প্রতিক্রিয়া
প্রসঙ্গত, তুরস্ক পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ঠিক অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন। যদিও ভারত সেই অস্ত্র এবং ড্রোন মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে ছিল দুটি মোবাইল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারও।
বক্শী দাবি করছে, আমরা যদি দেখাতে পারি যে, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে তুরস্ক যা করছে, তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত, তাহলে তুরস্কের ভবিষ্যৎ চাপের হবে। আর আমরা চাই তুরস্ক উপযুক্ত শিক্ষা পাক।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গের পোস্ট অফিসে প্রচুর শূন্যপদে চাকরি! উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেই সুযোগ
কেনই বা গ্রীস আর কেনই বা সাইপ্রাস?
বক্শী মনে করছে, তুরস্কের রাজনৈতিক লক্ষ্য এখন শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বরং, এরদোয়ান নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। আর তিনি একপ্রকার অটোমান সাম্রাজ্যের পুনরুত্থানের স্বপ্নেও দেখে ফেলছেন। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বর্তমানে ঘোলাটে। এমনকি দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। আর ঠিক সে সময় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এহেন পরিস্থিতিতে গ্রীস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা যদি বাড়ে, তাহলে তা হবে তুরস্কের জন্য নয়া কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ। বক্শী বলেছেন, ভারতের উপস্থিতি যদি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আরও জোড়াল হয়, তাহলে তা তুরস্কের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |