মাঝপথে ট্রেন ছেড়ে পালালেন চালক, মাথায় হাত যাত্রীদের

Published on:

bangladesh train

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ফের একবার অশান্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ। এমনিতে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ওপার বাংলার পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হাসিনা সরকারের পতন হয়ে নতুন অন্তরবর্তী সরকার অবধি গঠন হয়েছে। তারপরেও বিতর্ক যেন সে দেশের পিছু ছাড়ছে না। এবার নতুন করে বাংলাদেশে আন্দোলনে সামিল হলেন রেল কর্মীরা। বাংলাদেশ রেলওয়ের চালক ও কর্মচারীরা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন, যার ফলে দেশব্যাপী রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এখানেই শেষ নয়, ট্রেন চালক মাঝপথে ট্রেন ছেড়ে অবধি পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলায়। যাত্রী সূত্রে জানা গিয়েছে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে আসছিল ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস। ট্রেনটি এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপরই ট্রেন ছেড়ে চালক পালিয়ে যান। এরপরেই যাত্রীদের তীব্র ক্ষোভের শিকার হতে হয় স্টেশন মাস্টারকে। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

টাকা ফেরতের দাবি যাত্রীদের

WhatsApp Community Join Now

ঘটনায় রেলের কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানান যাত্রীরা। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয় স্টেশন মাস্টারকে। বিকল্প বাস বাসের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও সেই কাজ হয়নি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। সেইসঙ্গে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি নাকি। অন্যদিকে স্টেশন মাস্টার বলেন, আন্দোলনের জেরে ২৮ জোড়া ট্রেন বন্ধ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিক্ষোভে সামিল রেল কর্মীরা

রেলওয়ের কর্মচারীরা অবসরের পর বিশেষ ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবি জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। সোমবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চালক সমিতির নেতাদের বৈঠক ব্যর্থ হয়। এরপরেই মঙ্গলবার থেকে ট্রেন বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সকলে। বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় দেশব্যাপী তাদের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোন ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় আমাদের দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ পর্যটকদের জন্য সুখবর! ভারত-চিন চুক্তির জেরে ৫ বছর পর খুলছে কৈলাস মান সরোবর যাত্রার রাস্তা

তিনি বলেন, ‘পণ্যবাহী ও তেলবাহী তেলবাহী ট্যাংকারসহ সব ধরনের ট্রেন কর্মবিরতির আওতায় থাকবে। মধ্যরাতের পর কোনও ট্রেন যাত্রা শুরু করবে না, তবে ইতিমধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলি ধর্মঘটের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।’

সঙ্গে থাকুন ➥
X