বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানে অস্ত্র বোঝাই বিমান পাঠানোর খবর সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানিয়ে দিল তুরস্ক (Turkiye)। সম্প্রতি ভারতের সাথে অস্থিরতার মাঝে পাকিস্তানকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান দিয়ে সাহায্য করছে তুরস্ক, এমন খবরই চাউর হয়েছিল নানা মহলে।
সম্প্রতি তুরস্কের ডিরেক্টরেট অফ কমিউনিকেশনস সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিসইনফর্মেশনের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তানে কোনও রকম অস্ত্র বোঝাই বিমান পাঠায়নি তুর্কি। বরং জ্বালানি সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানে নেমেছিল বিমানগুলি। যেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মুখোশ খুলে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতার!
ছড়িয়েছিল ভুয়ো খবর
কাশ্মীরের মাটিতে 26 জন নিরাপরাধ ভারতীয়কে বেছে বেছে হত্যা করেছে পাক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। আর এই ঘটনার পরই ভারতের তরফে প্রত্যাঘাত পেয়েছে পশ্চিম দিকের দেশ। সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বাতিল থেকে শুরু করে দ্বীপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করে শেহবাজ সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে দিল্লি। এহেন আবহে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়ায় মাঝেই, বন্ধুরাষ্ট্র তুরস্ক নাকি পাকিস্তানে অস্ত্র বোঝাই বিমান পাঠিয়েছে।
গত 27 এপ্রিল এই খবর চাউর হতেই জল্পনা বাড়ে কূটনৈতিক মহলে। বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করেছিল, পাকিস্তানের মাটিতে একসাথে 7টি তুর্কি হারকিউলিস বিমান ল্যান্ড করেছে। অস্ত্র বোঝাই বিমানগুলির ছবিও নাকি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়।
বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছিল, তুরস্কের ওই 7টি অস্ত্র বোঝাই বিমান করাচি বন্দরে অবতরণ করে। তবে ওই বিমানগুলির ভেতরে কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে তা নিয়ে নাকি পাকিস্তান ও তুরস্ক দুই দেশের কেউই মুখ খুলতে নারাজ। যদিও ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন ওই বিমানে খুব সম্ভবত কামিকাজে ড্রোন থাকতে পারে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ফাঁস হল আসল সত্যি।
অবশ্যই পড়ুন: ফের এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন আম্বানি, আদানির অবস্থা কেমন? দেখুন তালিকা
বিবৃতি দিয়েছে তুরস্ক
সম্প্রতি পাকিস্তানে অস্ত্র বোঝাই তুর্কি বিমান পৌঁছানোর খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করেছে তুরস্ক। সে দেশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যমগুলি তুরস্কের অস্ত্র বোঝাই বিমান নিয়ে পাকিস্তানকে মিলিয়ে যে খবর প্রচার করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তুরস্ক মোটেও পাকিস্তানে কোনও অস্ত্র বোঝাই বিমান পাঠায়নি। ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকার আবেদন জানানোর পাশাপাশি তুরস্কের তরফে বলা হয়, মূলত জ্বালানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানে ওই বিমানগুলিকে পাঠিয়েছিল তুরস্ক। পরবর্তীতে জ্বালানি নিয়ে সেগুলি আবার নিজের গন্তব্যে ফিরে এসেছে।