দামি স্যুট, পেন অতীত! আমেরিকার কয়েক হাজার বহুমূল্যবান হীরে দিয়ে সাজানো হল নরেন্দ্র মোদীকে

Published on:

modi in us

শ্বেতা মিত্রঃ তিনি একজন রাষ্ট্র নেতা। তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। তিনি আবার গোটা বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত এক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীও বটে। আশা করছি আপনি বুঝতে পারছেন যে আজ কার কথা হচ্ছে, হ্যাঁ ঠিকই আন্দাজ করেছেন, আজ এই প্রতিবেদনে কথা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। আপাতত তিনি তিন দিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন। এদিকে এই সফরের মাঝেই তিনি এক প্রকার হীরের সাজে সেজে উঠলেন। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। আর জেরে নতুন করে শিরোনামে উঠে এলেন তিনি।

হীরের সাজে সেজে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

WhatsApp Community Join Now

আসলে একদম আসল হীরের সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। না সত্যি কারের নয় আসলে প্রধানমন্ত্রীর একটি স্ট্যাচু বানানো হয়েছে যা কিনা পুরোটাই হীরে দিয়ে তৈরি। আর এরকম একটি স্ট্যাচু বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভারতের দুই স্বর্ণকারক। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই দুই স্বর্ণকার দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার নিবাসী, কিন্তু আদতে তারা ভারতের বাসিন্দা। এদিকে অন্যান্য প্রবাসী ভারতীয়দের পাশাপাশি এই দুই স্বর্ণকারও যেদিন থেকে জানতে পেরেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার সফরে আসেন তাদের খুশির ঠিকানা নেই।

হীরের স্ট্যাচু বানিয়ে তাকালেন দুইজন

জানা গিয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভুত দুই ব্যবসায়ী রাজকুমার ও আশ্রিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য একটি বিশেষ উপহার প্রস্তুত করেছেন। তাঁরা ল্যাবের মধ্যে তৈরী করা হীরে দিয়ে সজ্জিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ছোট মূর্তি তৈরি করেছেন। আমেরিকায় গয়না ব্যবসায়ী রাজকুমার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন জো বাইডেনের স্ত্রীকে ল্যাবে উৎপাদিত হীরা উপহার দিয়েছিলেন, তখন আমরা তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলাম। এই মূর্তিটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় বছর। এই সময়ে আমরা অনেক ভুলও করেছি আবার অনেক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এই মূর্তিটি আমরা সুরাটে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’

ভারতীয়-আমেরিকান গয়না ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে, ‘আমরা আশা করি যে আমরা এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উপহার দিতে চাই। কিন্তু যদি তা না হয়, আমরা ডিসেম্বরে ভারতে যাবো এবং তাকে এই পরিবেশ-বান্ধব হীরের মূর্তি উপহার দেব।’ রাজকুমার জানিয়েছে যে এ কাজের জন্য ৩০ থেকে ৪০ জনের সহায়তাও নিয়েছেন তিনি। এরপর দেড় বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে প্রস্তুত করা হয়েছে হাজার হাজার হীরা।

সঙ্গে থাকুন ➥
X