বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে বড়সড় বদল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নির্দেশ, দাড়ি রাখা, অগোছালো পোশাক পরিধান করার মতো বিষয়গুলি আর মেনে নেওয়া হবে না (US Army Beard Ban)। সম্প্রতি এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তাঁর কথায়, ‘মোটা জেনারেল ও নানান কর্মসূচির কারণে সেনাবাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।’ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, ‘যাঁরা সরকারের নির্দেশ বা নীতি মানতে রাজি না থাকেন, তারা সম্মানজনকভাবে পদত্যাগ করুন।’
দাড়ি রাখলেই চকারি থেকে ছাঁটাই..
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার, ভার্জিনিয়ার মারিন কর্পস বেস কোয়ান্টিকোতে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য অফিসিয়ালদের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পিটের বক্তব্য ছিল, ‘মোটা জেনারেল ও নানান কর্মসূচির কারণে আমাদের সেনারা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন। মুখে দাড়ি রাখা কিংবা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সেনাবাহিনীতে থাকাটা একেবারেই ঠিক নয়। এবার থেকে সেনাবাহিনীতে ফিটনেস টেস্ট পুরুষদের মানদন্ড হবে। দাড়ি রাখা কিংবা অগোছালো পোশাক পরিধান করার মতো বিষয়গুলি আর মেনে নেওয়া যাবে না।’
এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও জানান, ‘বৈচিত্র্য ও বৈষম্য বিরোধী একাধিক কর্মসূচি সেনা কর্মকর্তাদের ভয়ের মধ্যে রেখেছে। ‘ হেগসেথের কথায়, 15 বছরের ছেলে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে সে চাইবে না যে তার ছেলে এমন সেনাদের সঙ্গে কাজ করুক যারা শারীরিকভাবে ঠিক নেই। তাই এগিয়ে যেতে হলে শীঘ্রই একটি পুনর্গঠন প্রয়োজন। কাজেই, যারা সেনাবাহিনীতে থাকতে চান তাদের সরকারি নীতি মানতেই হবে।
এদিন, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনিও বৈচিত্র উদ্যোগের বিরোধিতা করে জানান, ‘সবকিছু এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে হবে, রাজনৈতিক কারণে কারও জায়গা দখল মেনে নেওয়া হবে না।’ ট্রাম্পও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বলেছিলেন, ‘ আমি তোমাদের সাথে আছি, আমার 100 শতাংশ সমর্থন আছে তোমাদের উপর।’ সবমিলিয়ে বলাই যায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীদের দাড়ি রাখার বিষয়টি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে গেল!
অবশ্যই পড়ুন: যার জন্য ছেড়েছিলেন সানিয়া মির্জাকে, সেই সানার সাথেও বিয়ে ভাঙছে শোয়েব মালিকের!
উল্লেখ্য, ট্রাম্প এবং তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর তরফে ডাকা বিশেষ অনুষ্ঠান নিয়ে তীব্র সমালোচনা জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাদের বক্তব্য, ‘এরা আসলে এসব করে সেনাবাহিনীতে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যা আমেরিকার অরাজনৈতিক সেনা ঐতিহ্যকে ক্ষতির মুখে দাঁড় করাবে।’ জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুদ্ধমন্ত্রী পিটের সমাবেশে উপস্থিত থাকলেও তাদের ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মার্কিন সেনা সদস্যরা।