কুকর্মের শোধ নিচ্ছে প্রকৃতি! জলশূন্য পাকিস্তানের একাধিক গ্রাম, মরণাপন্ন বহু পরিবার

Published on:

Water runs out in a village of Pakistan

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এক সময়ে হই হট্টগোল ও শিশুদের খেলাধুলায় মুখরিত থাকা পাকিস্তানের (Pakistan) একটি গ্রামের অবস্থা এখন একেবারে নরকসম। বেশ কিছু পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক ডেরাওয়ার দুর্গ থেকে মাত্র 12 কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কোটনে গ্রাম বর্তমানে একেবারে জলশূন্য। বেশ কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, গত মার্চেও এই গ্রামটিতে কমপক্ষে 100টি পরিবার বসবাস করত। তবে জলের অভাব থাকায় বর্তমানে গ্রামটি মরুভূমির চেহারা নিয়েছে।

জল শূন্যতার নেপথ্যে একাধিক কারণ..

পাকিস্তানের কোটনে গ্রামের জলশূন্যতার কারণ হিসেবে গড় বৃষ্টিপাতের অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের ওই অঞ্চলে একেবারে নামমাত্র বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রামটিতে জলের হাহাকার দেখা দেয়। সূত্রের খবর, দক্ষিণ পাঞ্জাবের চোলিস্তান মরুভূমির 26,000 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত অঞ্চলগুলিতেও বৃষ্টিপাতের কমতির কারণে তীব্র জল সঙ্কটে পড়েছেন সেই অঞ্চলের বাসিন্দারা।

পাকিস্তানে এমন বহু এলাকা রয়েছে, যেখানে বর্তমানে জল সঙ্কট বিরাট রূপ ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এইসব গ্রামের তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিল কোটনে। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাতের অভাব ও ওয়াটার লেভেল একেবারে তলানিতে চলে যাওয়ায় গ্রামটি বর্তমানে মরুভূমির চেহারা ধারণ করেছে।

কয়েক মাস আগেই শুরু হয় জল সঙ্কট

বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম যা জানাচ্ছে, খুব সম্ভবত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ পাকিস্তানের কোটনে গ্রামের জলাধার গুলি শুকিয়ে যেতে শুরু করে। মূলত বৃষ্টিপাতের অভাবে দুমাস আগেই অঞ্চলটির কমপক্ষে 1,900টি প্রাকৃতিক জলাধার শুকিয়ে রাক হয়ে গিয়েছিল। শোনা যায় তা সত্ত্বেও, বৃষ্টির আশায় অপেক্ষা করছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। তবে শেষ পর্যন্ত ধৈর্যের বাঁধ ভাঙায় প্রাণ বাঁচাতে গ্রামটি পরিত্যাগ করেন তারা।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

অবশ্যই পড়ুন: কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের রাস্তা সুগম হল মোহনবাগানের, ম্যাচের আগে বিপদে কেরালা

সরকার নিরব দর্শকের ভূমিকায়

বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কোটনে গ্রামের প্রাকৃতিক জলাধার গুলি শুকিয়ে যাওয়া ও ওয়াটার লেভেল একেবারে তলানিতে ঠেকে যাওয়ার খবর পাওয়া সত্বেও পাকিস্তান সরকারের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

জানা যাচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলির অনুন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত সরকারের আশা ছেড়ে দিয়ে প্রায় 100-র বেশি পরিবার পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরাঞ্চল ও ডেরাওয়ার দুর্গে স্থানান্তরিত হয়েছেন। আর এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে একমাত্র কালপ্রিট হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে পাক সরকারকে!

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥