সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট (Bankim Brahmbhatt) বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খবরের শিরোনাম। জানা যাচ্ছে, বিনিয়োগ সংস্থা ব্ল্যাকরক এবং আরও বেশ কয়েকটি ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে তিনি মোট 50 কোটি ডলার ঋণ নিয়েছেন যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে প্রায় 4300 কোটি টাকা। এর জেরেই একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ঋণ জালিয়াতিওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এটিকে মূলত শ্বাসরুদ্ধকর জালিয়াতি হিসেবেই বর্ণনা করছে। এমনকি অভিযোগ করা হয়েছে, ব্রহ্মভট্ট জালিয়াতি করেই তার টেলিকম পরিষেবা সংস্থাগুলির নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং গ্রাহক ঋণ বিলের জামানত ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু হ্যাঁ, ব্রহ্মভট্ট এবং তার আইনি দল এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কে এই বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট?
বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট বর্তমানে দু’টি কোম্পানির মালিক। যথাঃ ব্রডব্যান্ড টেলিকম এবং ব্রিজভয়েস। দুটি কোম্পানিই বর্তমানে বঙ্কাই গ্রুপের অংশ। তার আদি শিকড় ভারতেই। তবে তার বিরুদ্ধে উভয় কোম্পানির কাছ থেকে জাল নথিপত্র জামানত করে 4300 কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জুলাই মাসে বঙ্কাই গ্রুপ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিল। আর সেখানে ব্রহ্মভট্টকে তারা সভাপতি ও সিইও হিসেবে ঘোষণা করে। এমনকি গ্রুপের ওয়েবসাইট অনুসারে তার কোম্পানিগুলোই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটরদের অবকাঠামো ও সংযোগ সমাধান প্রদান করে থাকে।
BlackRock’s private-credit arm was defrauded of over $500 million by an Indian named Bankim Brahmbhatt.
Brahmbhatt ran a telecom-financing firm named Carriox Capital and fabricated customer contracts and invoices from major telecom companies such as T-Mobile, Telstra, and… pic.twitter.com/RaCcXkSB9p
— AF Post (@AFpost) October 30, 2025
বলাবাহুল্য, কোম্পানিগুলির অফিসগুলি মূলত আমেরিকার নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে তালিকাভুক্ত। এমনকি ওই কোম্পানিগুলি 2025 সালের আগস্ট মাসে দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করে। তবে এর কিছুদিন পরে ক্যারিওক্স ক্যাপিটাল II এবং বিবি ক্যাপিটাল এসপিভিও দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এমনকি ব্রহ্মভট্ট নিজে 12 আগস্ট ব্যক্তিগত দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।
আরও পড়ুনঃ শুরুতেই বেতন ৩৫,৪০০! ভারতীয় রেলে আবারও ২৫৭০ শূন্যপদে নিয়োগ
এখন কোথায় বঙ্কিম ব্রহ্মভট্ট?
জানিয়ে রাখি, তিনি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেই। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন বলেই অনুমান। এইচপিএস কর্মকর্তারা যখন নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটির অফিসে পৌঁছেছিলেন, তখন অফিসটি তালা বন্ধ ছিল। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কোনও কর্মচারী ওখানে প্রবেশ করছে না। তদন্তের সময় কর্মকর্তারা ব্রহ্মভট্টের গার্ডেন সিটির বাড়িতে পৌঁছেই এরকম দৃশ্য দেখতে পান। এমনকি সেখানকার ড্রাইভওয়েতে দুটি বিএমডব্লিউ, একটি টেসলা ও একটি অডি পার্ক করে রাখা ছিল। তবে দরজাটি ছিল তালা বন্ধ। বর্তমানে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।












