শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ এবার বিরাট বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে বিশ্বের এক প্রান্তে। যা বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ব্যাপক চিন্তা বাড়িয়েছে। আসলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল বা হিমবাহ A23a এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে চলেছে! জানা যাচ্ছে, এটি দক্ষিণ আটলান্টিকে অবস্থিত দক্ষিণ জর্জিয়া এবং আশেপাশের দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংঘর্ষের মুখে। এটি পেঙ্গুইন, সিল এবং বিরল সামুদ্রিক প্রজাতি সহ এই অঞ্চলের অনন্য এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যকে মারাত্মক হুমকির মধ্যে ফেলেছে। এই সংঘর্ষ হলে লাখ লাখ প্রাণীর জীবন যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনের ওপরেও এর বিরাট প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
A23a: বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল
এ২৩এ আইসবার্গটি বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণ আকারের। এটি ১৯৮৬ সালে Filchner-Ronne Ice Shelf থেকে পৃথক করা হয়েছিল। প্রথমের দিকে এটি সমুদ্রের তলদেশে আটকে ছিল এবং ধীরে ধীরে গলে যায়। এরপর ২০২০ সালে এটি দক্ষিণ মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে এবং ২০২৩ সালে এটি আবার সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে অন্যদিকে সরতে শুরু করে।
আসলে ‘টেইলর কলামস’ নামের সমুদ্রের ঘূর্ণিতে আটকে থাকা হিমশৈলটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ঘূর্ণিগুলি সমুদ্রের নীচে পাহাড়ের কারণে গঠিত হয় এবং আইসবার্গগুলিকে আটকাতে পারে। এ২৩এ এর ওজন এক ট্রিলিয়ন টনেরও বেশি এবং এই ঘূর্ণি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ওলটপালট হবে বিশ্ব বাজার! পাকিস্তানের পর এবার চিনে মিলল সবথেকে উৎকৃষ্ট মানের সোনা
বিপদের মুখে বহু প্রাণীর জীবন
দক্ষিণ জর্জিয়া অঞ্চলটি জীববৈচিত্র্যের একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্র। দ্বীপটি পেঙ্গুইন এবং সিলের একটি বিশাল জনসংখ্যার আবাসস্থল। যদি আইসবার্গটি এখানে আঘাত করে তবে এটি পশু খাদ্যের জন্য সামুদ্রিক অঞ্চলে তাদের প্রবেশকে বাধা দিতে পারে। দক্ষিণ জর্জিয়ার সরকারি জাহাজ ফারোসের ক্যাপ্টেন সাইমন ওয়ালেস বলেন, ‘হিমশৈল প্রকৃতিগতভাবে বিপজ্জনক।’
গৌতম গম্ভীরের এই প্ল্যানই জিতিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে, ম্যাচ শেষে ফাঁস করলেন তিলক বর্মা