এখনও কয়েক হাজার কোটি পায় আদানি, বিদ্যুতের ঋণ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: ২০১৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ চুক্তি হয় বাংলাদেশের। সেই চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গোষ্ঠী। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় আদানি গোষ্ঠী। গোড্ডা থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করে তারা। সেখানে দু’টি ইউনিট রয়েছে। এক একটি ইউনিটের প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই যেতে লাগল। শেষে শেখ হাসিনার গদি নড়ে যাওয়ায় ইউনূস সরকারের কাছে বাকি টাকা দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল আদানির তরফে।

ঝাড়খণ্ডের একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে

গত আগষ্টের গোড়ার দিকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাত আদানি পাওয়ার। কিন্তু বকেয়া না পাওয়ার জেরে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ কমে ৫২০ মেগাওয়েটে ঠেকিয়েছিল আদানি। আদানির তরফ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে পুরো বকেয়া টাকা না মেটানোয় আদানির থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছিল বাংলাদেশ। তারপরেই ১ নভেম্বর থেকে ঝাড়খণ্ডের একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে গোড্ডায়।

৮৪.৩ কোটি টাকা দেওয়া বাকি ইউনূস সরকারের

রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে গতমাসে আদানির বকেয়া বাবদ ১৭.৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও আদানির বকেয়া বাবদ ৮৪.৩ কোটি ডলার দেওয়া বাকি তাদের। কিন্তু বাকি টাকা জোগাড় করতেই রীতিমত হিমশিম অবস্থা প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সরকারের অভিযোগ, বিগত হাসিনা জমানায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে রাজস্বের চাপ রয়েছে। তবে প্রথম দিকে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ওঠায় ইউনূস সরকার ঠিক করেছিল যে আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তি যাতে বাতিল করা হবে কিন্তু বাংলাদেশের জলসম্পদ, পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এর মুখে অন্য সুর শোনা যায়। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ নয় বাংলাদেশের পক্ষে।

এদিকে এই বিপুল বকেয়া থাকার পরেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে আদানি গোষ্ঠী। এক্ষেত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা বকেয়া একটি উদ্বেগের বিষয়। এর কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে সচল রাখা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ এবং সরকারের সঙ্গে আমরা বার বার আলোচনা করছি। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে বকেয়া টাকা শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥