সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রাখছে ইউনূস! হুঁশিয়ারি জেনারেলের

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ইউনূসের দেশের (Bangladesh) রাজনীতিতে হাওয়া ফের গরম। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এই দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এবার এই সরকারের বিরুদ্ধেই হুঁশিয়ারি ছাড়লেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রেখে কোনও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না! হ্যাঁ, এরকমই বার্তা দিয়েছেন তিনি। আর এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে চরম চঞ্চলা ছড়িয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এমনকি ইউনূস সরকারের মানবিক করিডোর পরিকল্পনা নিয়ে এখন চলছে জলঘোলা।

শেখ হাসিনার আপতকালীন বন্ধু ওয়াকার-উজ-জামান?

বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত জানা গেল, একসময় শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এমনকি 2024 সালের 5 আগস্ট শেখ হাসিনার দেশটাকে ত্যাগের সময় তিনি সাহায্যও করেছিলেন। আর তিনি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নয়া সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন।

জেনারেল ওয়াকারের কড়া মন্তব্য

গত বুধবার ঢাকার সেনানিবাসে শতাধিক সেনা অফিসারদের সামনে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি বলেন, ইউনূস সরকার সামরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুক। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীকে কোনোভাবেই অন্ধকারে রাখা চলবে না। আর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। 

তার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, 2023 সালের আগস্ট মাসে তিনি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল সুষ্ঠু এবং ন্যায় পরায়ন রাজনীতি চালানো। কিন্তু ইউনূস সরকার বেঁকে বসেছে।

আরও পড়ুনঃ জুলাইতে হবে ভয়াবহ সুনামি, ৩ দেশে চলবে ধ্বংসযজ্ঞ! ভবিষ্যদ্বাণী জাপানিস বাবা ভাঙ্গার

মানবিক করিডোরে উদ্বেগ

এদিকে ইউনূস সরকারের সবথেকে বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি হল – চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ পর্যন্ত মানবিক করিডোর তৈরি করা। আর আপাততভাবে এটি মানবিক সহায়তার উদ্যোগ হলেও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, এই করিডোর উত্তর-পূর্ব ভারতের শৃঙ্খলায় ব্যঘাত ঘটাতে পারে।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এর আগে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি দাবি করেছিলেন, আমেরিকা সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। তবে ওয়াকার অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীকে অন্ধকারের মধ্যে ফেলে রাখছে। আর এই ধরনের কাজকর্ম কোনোভাবেই চলতে পারে না। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়।