বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এমনিতেই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের একাধিক কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত ওপার বাংলার জনগণ। সেই তালিকায় বহু আগেই নাম জুড়েছিল পদ্মা পাড়ের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের (Bangladesh Army Chief)। ইউনূসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলিতে জামান যে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট তা বোঝা গিয়েছে নানান বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।
এছাড়াও ওপার বাংলায় চিনের অংশগ্রহণ একেবারেই পছন্দ করছেন না তিনি। এমতাবস্থায় কি বাংলাদেশের ক্ষমতা চলে যেতে পারে সেনাবাহিনীর হাতে? অনেকেই যখন এই প্রশ্ন তুলছেন ঠিক সেই আবহে আচমকা জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জামান। তাহলে কি ইউনূস জামানা শেষ?
হঠাৎ কেন জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের নানান সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট জামান হঠাৎই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের মাধ্যমে তিনি আগামী দিনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে রাখতে চান। ওপার বাংলার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জামান নাকি চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন ঘোষণা করুক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে শান্তিতে নোবেলজয়ীর শাসন শুরু হতেই বিভিন্ন পরাশক্তির আধিপত্য বেড়েছে ওপার বাংলায়।
যা একেবারেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না সেনাপ্রধান জামান। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, ইউনূসকে যে বিদেশি শক্তিগুলি হাতের পুতুল বানিয়েছে তা বুঝতে পেরেছেন জামান। আর সেজন্যই হঠাৎই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনার পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
আড়ালে আসল খেল দেখাচ্ছেন জামান!
সম্প্রতি পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশ যেভাবে চিনের কাছাকাছি এসেছে তাতে ওপার বাংলার বাণিজ্যে ড্রাগনের দেশের আধিপত্য অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে। ফলত, ইউনূসের শাসনকালে বিদেশিদের আধিপত্য কমাতে চাইছেন সেনা জেনারেল জামান। বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চাইছেন দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে, সেই সাথে বিদেশি শক্তিরা যাতে দেশে ক্ষমতা দেখাতে না পারে তার ব্যবস্থাও করে রাখতে।
অবশ্যই পড়ুন: ভারতের সাথে বেইমানির মাসুল! দেশের কোনও শোরুমেই আর বিক্রি হবে না তুর্কির গহনা
জানিয়ে রাখি, প্রাথমিকভাবে ইউনূসকে সাহায্য করতে চাইলেও পরবর্তীতে বিদেশি পরাশক্তিদের আধিপত্যের কথা মাথায় রেখে দ্রুত নির্বাচন চাইছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জামান। আর সেই কারণেই একপ্রকার পেছনের দরজা দিয়ে আড়ালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে রাখছেন তিনি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ইউনূসের আমেরিকা ও চিন ভক্তির মাঝে রাশিয়ায় গিয়ে সে দেশের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনা প্রধানদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা সেরে এসেছেন জামান। আর এতেই বোঝা যাচ্ছে, শীঘ্রই সিংহাসন হারাবেন ইউনূস।