পাটনাঃ রাজ্যে হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীর জন্য রইল দারুণ সুখবর। সকলেই চান ভালো করে পড়াশোনা করে চাকরি করতে। আর সেই চাকরি যদি সরকারি হয় তাহলে একদম সোনায় সোহাগা। আপনিও যদি সরকারি চাকরির খোঁজে থেকে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল বাম্পার সুখবর। কারণে এবার রাজ্যের কয়েক হাজার পদে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করা হল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এক ধাক্কায় ১০,০০০ পদে কর্মী নিয়োগ কড়া হবে।
পদের নাম ও সংখ্যা
১০ হাজারের বেশি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিহারের নীতীশ সরকার এই নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হবে, যার জন্য শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। পাটনার এডিজি ট্রাফিক সুধাংশু কুমার এই তথ্য দিয়েছেন। রাজ্যের ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য, ১৫২৭ হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস এবং ৫৫৩টি Body Worn ক্যামেরা কেনা হয়েছে। যারা এগুলি ব্যবহার করতে জানবেন তাঁদের নিয়োগ করা হবে। এডিজি ট্র্যাফিক সুধাংশু কুমার জানিয়েছেন, মোট ১০৩৩২টি পদ পূরণ করা হবে।
এছাড়া জেলার ট্রাফিক থানাগুলোতে ৪ হাজার ২১৫টি পদ পূরণ করা হবে। এরপর হাইওয়ে পেট্রোলিংয়ের জন্য ১৫৬০টি পদ পূরণ করা হবে। বিপিআরডির নিয়ম অনুযায়ী ১৮০৭টি পদ পূরণ করা হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ৭৫৩টি পদে নিয়োগ করা হবে। এদিকে রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া বইছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে।
কেন এত নিয়োগ?
আচমকা সরকার কেন এত নিয়োগ করবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এডিজি সুধাংশু বলেছেন যে বিহারে এত নিয়োগের কারণ উন্নাওয়ের দুর্ঘটনা। গত ১০ জুন উন্নাওয়ে বাস দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ বাসের আনফিট হওয়া। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনো বাস সরিয়ে ফেলার। নতুন বাস কিনবে সড়ক পরিবহন বিভাগ। এ জন্য ট্রাফিক পুলিশের বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে, যাতে আনফিট বা ভাঙাচোরা গাড়ি তাদের চোখে পড়ে।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় কাটা হবে চালান
চালান প্রক্রিয়ায় যারে স্বচ্ছতা আসে সেটার জন্য Body Worn ক্যামেরা ইনস্টল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বহু মানুষ অভিযোগ করেন যে ট্র্যাফিক পুলিশ ভুল চালান জারি করে। অতএব, দেহ এই বিশেষ ক্যামেরাগুলি ইনস্টল করা হবে যাতে ড্রাইভারও গাড়ির ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পারে ও তিনি বলতে পারবেন না যে ভুল চালান কাটা হচ্ছে কিনা। এই মুহূর্তে ক্যামেরার ট্রায়াল চলছে। এতে চালকদের সব কর্মকাণ্ড রেকর্ড করা হচ্ছে। ট্রায়াল সফল হলে ক্যামেরার ভিত্তিতে চালান কাটা হবে। এছাড়াও বিহারের সমস্ত টোল প্লাজায় ই-ডিটেকশন পোর্টাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এ জন্যও আরও লোকবলের প্রয়োজন হবে। আর এর জন্যই ১০,০০০-রও বেশি পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।