প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১৯ সালে রাজ্যের সরকারি বাসে নতুন ড্রাইভার ও কন্ডাক্টর নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা ভাইরাস। মহামারি এই ভাইরাস গোটা বিশ্বকে এমন ভাবে কাবু করে রেখেছিল যে কোনো প্রশাসনিক কাজ এইসময় বাস্তবায়িত হয়নি। পরে পরিস্থিতি ঠিক হলেও এই বিষয়ে আর কথা এগোনো হয়নি। এদিকে বর্তমান ড্রাইভার ও কন্ডাক্টরদের অনেকেই ৫০ বছরের বেশি বয়স এবং গভীর রাতের শিফটে কাজ করা তাঁদের পক্ষে বেশি কঠিন হয়ে পড়ছে। যার ফলে রাজ্য সরকারের বাস পরিষেবায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
চালক এবং কন্ডাক্টর চুক্তি নিয়ে বড় পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
এমনিতেই রাজ্যে সরকারি বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমতে চলেছে, তার ওপর পর্যাপ্ত চালক এবং কন্ডাক্টর না থাকায় ঠিকমতো বাস চলাচল করছে না। যার ফলে মহা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকারি বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তাই এবার শহরের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস নামাতে সম্প্রতি চালক এবং কন্ডাক্টর চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য নবান্নে প্রস্তাব দিয়েছিল দফতর।
বৈঠকেই নেওয়া হবে চরম সিদ্ধান্ত
আর তাই এবার সেই অনুযায়ী নবান্ন ৮৮৫ জন চালক-কন্ডাক্টরকে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগে অনুমোদন দিতে চলেছে। জানা গিয়েছে আগামী সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই বৈঠকেই এবার ৮৮৫ জন চালক-কন্ডাক্টর নিয়োগের বিষয়টিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। সেখানেই হয়ত শহরের বাসে চালক কন্ডাক্টর নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এইমুহুর্তে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাসে চালক কন্ডাক্টর নিয়োগে এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ৬০০টি মতো বাস চলাচল করে। তবে আরও ২০০টি বাসের প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ এবার বীমা সংস্থা বিক্রির পথে কেন্দ্র, তালিকায় তিনটি বড় নাম! আপনার পলিসি নেই তো?
এদিকে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের হাতে রয়েছে ৮৮০ জন চালক এবং ৯৫৬ জন কন্ডাক্টর। সেক্ষেত্রে দরকার ১,৩৩০ জন চালকের। যদি চালকের সংখ্যা আরও ২০০ জন বাড়ানো হয় তাহলে কন্ডাক্টর পাওয়া গেলে ৭০০ বাস আরও নামানো যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছে নবান্নের তরফে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বাসের ট্রিপ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা চললেও এখনও পর্যন্ত তেলের দাম নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে চালকদের মধ্যে।