প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তাই নতুন বছর পড়তেই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই সম্মেলনের জোর কদমে প্রস্তুতি। সম্মেলনে কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে তার জন্য একের পর ডাকা হচ্ছে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিনিয়োগ এবং শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। এমনকি বিদেশ সফরে গিয়েছেন লগ্নি টানতে। যাতে বাংলার বেকার শিক্ষিত যুবক–যুবতীদের কর্মসংস্থান হয়। আর এই আবহে এবার পশ্চিমবঙ্গে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে নিফা গোষ্ঠী।
উৎপাদন বাড়াতে বড় উদ্যোগ নিফা গোষ্ঠীর
জানা গিয়েছে, নিফা সংস্থা আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য তৈরি করে এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তা রফতানি করে থাকে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তারা বিশ্বের ৩০টি দেশে তাদের তৈরি ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি করে চলেছে। এবং বেশ সুনাম অর্জন করেছে। আর সেই সুনাম আরও দ্বিগুণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবার ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে চলেছে এই সংস্থা। তার জন্য বাংলাকেই বেছে নিয়েছে এই সংস্থা। সূত্রের খবর, নিফা সংস্থা বর্তমানে বন্দে ভারত ট্রেনের জন্য চাকা ও অ্যাক্সেল উৎপাদন করে। তবে এবার শিল্পের পাশাপাশি কৃষির দিকে মনোযোগ দিতে চলেছে এই সংস্থা। জানা গিয়েছে নতুন কারখানায় এবার কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরি করবে এই সংস্থা।
সম্প্রতি নিফা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিডি শাহের জীবনী সংক্রাম্ত বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিফা গোষ্ঠীর বর্তমান চেয়ারম্যান এমসি শাহ। তিনি জানিয়েছেন বাংলায় এই মুহুর্তে ডানকুনি এবং চন্দননগরে তাঁদের দু’টো কারখানা রয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা আরও বেশি বেশি বরাত পেতে এবং সকলের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে। সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে তেমনই সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি লাভের পরিমাণ বাড়বে।
বাড়বে কর্মসংস্থান
এছাড়াও সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, যেহেতু মোট উৎপাদিত পণ্যের ৭৫ শতাংশই তারা রফতানি করেন বিশ্বের বাকি দেশে। তাই আগামী তিন বছরে ২০০ কোটি টাকা লগ্নিতে আরও দু’টি কারখানা তৈরি করবে এই গোষ্ঠী। খুব বেশি দূরে নয়, ডানকুনি এবং চন্দননগরে তাদের আগের দুটো কারখানার লাগোয়া জমিতেই তৈরি হবে এই নতুন দুই কারখানা। এখন এই সংস্থার অধীনে কাজ করেন ২ হাজার কর্মী। আশা করা যাচ্ছে আগামী তিন বছরে সংস্থার সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হলে আরও প্রায় ৩ হাজার জন নতুন করে চাকরি পেতে পারবেন এখানে।