শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন রতন টাটা (Ratan Tata)। তিনি নেই ঠিকই, রয়ে গিয়েছে তাঁর লেগ্যাসি। রতন টাটার রেখে যাওয়া লেগ্যাসি, ব্যবসা ইত্যাদি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন পরের প্রজন্মের কাঁধে। টাটা গ্রুপের অন্যতম শাখা TCS। দেশের প্রযুক্তি খাতে অন্যতম সেরা কোম্পানি হিসেবে টিসিএস-এর পরিচিতি রয়েছে। টিসিএস বরাবর কমবয়সীদের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে প্রাধান্য দিয়েছে। রতন টাটা যখন জীবিত ছিলেন, তখন টাটা গোষ্ঠীর এই কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন বহু মানুষ। এবার টিসিএস নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাটা গ্রুপের অন্যতম কর্তা নোয়েল টাটা।
TCS নিয়ে বড় ঘোষণা
নোয়েল টাটার এই সিদ্ধান্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে বলে জানানো হয়েছে। নোয়েলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন টিসিএস-এর চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লাক্কাদ।
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) সম্প্রতি তার নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার কথা ঘোষণা করেছে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৪০,০০০ নতুন ফ্রেশার নিয়োগের লক্ষ্য নিয়েছে কোম্পানি। টিসিএসের চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লাক্কাদ এই তথ্য জানিয়েছেন। ২০২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৫,৭২৬ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে টিসিএস। গত ত্রৈমাসিকে ৫,৪৫২ জন কর্মী নিয়োগের পরে এবার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে টাটা গোষ্ঠীর এই শাখা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, কোম্পানিতে মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ৬১২,৭২৪ যা আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় বেশি। বছরের প্রথমার্ধে, টিসিএস ১১ হাজারেও বেশি কর্মচারী তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
টিসিএসের বিরাট মুনাফা
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিসিএসের নিট মুনাফা হয়েছে ১১,৯০৯ কোটি টাকা, যা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি। বৃদ্ধি পেলেও এই সংখ্যাটা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা কম ছিল। এই ত্রৈমাসিকে রাজস্বও ৬৪,২৫৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭.৬% বেশি। টিসিএসের নতুন নিয়োগের কৌশল কেবল সংস্থার জন্য ইতিবাচক লক্ষণই নয়, তরুণ পেশাদারদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগও তৈরি করার পথ সুগম করেছে।
টিসিএসের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ২০২৪ আর্থিক বর্ষে প্রথমবারের মতো, সংস্থায় ১৯ বছরে কর্মচারীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিক। সব মিলিয়ে কর্মচারীর সংখ্যা পেয়েছিল ১৩ হাজার ২৪৯ জন। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের হার আগের ত্রৈমাসিকে ১২.১% এর তুলনায় সামান্য বেড়ে ১২.৩% হয়েছে। তবুও, এটি আগের বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের হারের তুলনায় কম, যা ছিল ১৪.৯%।