সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: একটা ছোট ভুলের জন্যই গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যায় প্রতি মাসে টাকা। হ্যাঁ, আমরা বলছি মিনিমাম ব্যালেন্স (Minimum Balance Penalty) না রাখার কথা। কারণ অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলেই অজান্তেই ব্যাঙ্ক টাকা কেটে নিচ্ছে। কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে এই একটা কারণেই সরকারি ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে নাকি 8932.98 কোটি টাকা আদায় করেছে!
কী এই মিনিমাম ব্যালেন্স জরিমানা?
আসলে প্রতিটি সেভিংস অ্যাকাউন্টে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাখতে হয়। এটাকেই বলে মাসিক গড় ব্যালেন্স। যদি আপনি এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা না রাখতে পারেন, তাহলে ব্যাঙ্ক আপনাকে জরিমানা করবে। আর এই নিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের মধ্যে চলছে বিতর্ক। যদিও অনেক ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে এই মিনিমাম ব্যালেন্সের জরিমানা তুলে নিয়েছে।
কোন ব্যাঙ্ক কত টাকা আদায় করেছে?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের সবথেকে বেশি জরিমানা আদায় করেছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। হ্যাঁ, তারা মোট 1828.18 কোটি টাকা জরিমানা নিয়েছে। আর এরপরেই রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। বাকি ব্যাঙ্কগুলির অবস্থান ঠিক এরকম—
- ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক মোট আদায় করেছে 1828.18 কোটি টাকা।
- পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক মোট আদাই করেছে 1662.42 কোটি টাকা।
- ব্যাঙ্ক অফ বরোদা আদায় করেছে 1531.62 কোটি টাকা।
- কানারা ব্যাঙ্ক আদায় করেছে 1212.92 কোটি টাকা।
- ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আদায় করেছে 809.66 কোটি টাকা।
- সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আদায় করেছে 585.36 কোটি টাকা।
- ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র আদায় করেছে 535.2 কোটি টাকা।
- ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আদায় করেছে 484.75 কোটি টাকা।
- ইউকো ব্যাঙ্ক আদায় করেছে 119.1 কোটি টাকা।
- পাঞ্জাব এন্ড সিন্ড ব্যাঙ্ক আদায় করেছে 100.92 কোটি টাকা।
- ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক আদায় করেছে 62.04 কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, 2020-21 অর্থবর্ষে যেখানে এই জরিমানা বাবদ 1142 কোটি টাকা আয় হয়েছিল, আর 2023-24 অর্থবর্ষের শেষে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে 2331 কোটি টাকায়। যদিও 2024-25 অর্থবর্ষে এই অংক সামান্য কমে 2175 কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুনঃ সেনাদের বাস উল্টে গেল পাহাড়ি খাঁদে, একটুর জন্য রক্ষা! ভয়াবহ দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে
ইতিবাচক পদক্ষেপ SBI-এর
তবে এই তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম নাম স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, যারা 2020 সালের মার্চ মাস থেকেই এই জরিমানা তুলে নিয়েছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কও এই জরিমানা তুলে নিয়েছে। কারণ ব্যাঙ্কগুলি মনে করছে, সাধারণ মানুষের আর্থিক বোঝা কমাতে এবং ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে আরো সহজলভ্য করে মানুষের নাগালে আনতে হলে এই জরিমানা বন্ধ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |