শ্বেতা মিত্র, বর্ধমানঃ প্রতিদিন বাংলায় বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যার ইয়ত্তা হয়তো আমরা রাখি না বা আমাদের সামনে উঠে আসে না। আবার এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যেগুলি নিয়ে আমাদের আলোচনার শেষ থাকে না। আজ তেমনই একটি ঘটনা প্রসঙ্গে আলোচনা হবে যেটি সম্পর্কে জানলে ভাবতে বাধ্য হবেন, এও সম্ভব? আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একজনকে নিয়ে আলোচনা হবে যে কিনা লটারিতে কোটি টাকা জিতেছে কিন্তু তাকে দীর্ঘদিন ধরে জেলেই এক প্রকার ‘বন্দি’ অবস্থায় থাকতে হয়েছে। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে বাংলার বুকে।
লটারি জিতে শ্রীঘরে ব্যক্তি
গতকালই ছিল লক্ষ্মীপুজো। আর এই লক্ষ্মীপুজোর সময় রীতিমতো লটারি জিতে গিয়েছিলেন বামাচরণ মেটে বলে একজন ব্যক্তি। কিন্তু এই লটারি কাটাই যেন তার সব থেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেশায় দিনমজুর স্বেচ্ছায় শ্রীঘরে গিয়েছেন শুধুমাত্র প্রাণের দায়ে। কারণ লটারির কল্যাণে তিনি যে এখন কোটিপতি হয়ে গিয়েছে। ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা বামাচরণ নিরাপত্তার জন্য গত কয়েকদিন ধরে ছোড়া ফাঁড়িতেই দিন কাটাচ্ছেন।
তাঁর কথায়, ‘ফসলে দেওয়ার জন্য সার কিনতে স্ত্রী দিয়েছিল ১০০ টাকা। কিন্তু সারের দোকান বন্ধ থাকায় সেই টাকা দিয়ে ৬০ টাকা খরচ করে গত সোমবার সকালে দুটি লটারি টিকিট কেটেছিলাম। তারপর দুপুরে খেতে বসেই ফোনে টিকিট মেলাতে গিয়ে দেখি টিকিট জিতে নিয়েছি। ব্যাপারটা বিশ্বাস না হয় স্ত্রী কেউ জানাই সেও ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দেয়।’
থানায় ‘বন্দি’ কোটিপতি
জানা গিয়েছে, এরপর বামাচরণ দেরি না করে নিরাপত্তার জন্য ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে চলে আসেন। থানার ইনচার্জ ত্রিদিব রাজের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানান বামাচরণ। এদিকে পুলিশ তাঁকে খালি হাতে ফেরায় না। তার আবেদনের সাড়া দেওয়ায় পুলিশকে প্রশংসায় ভরিয়েও দেন বামাচরণ। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই আমার টিকিট কাটার নেশা ছিল। আর সেই নেশা থেকে ইলামবাজারে গিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলাম। গেছিলাম সারা কিনতে কিন্তু সারের দোকান বন্ধ থাকায় আমার ভাগ্যটাই খুলে গেল।’