১৫-র বদলে ১২ বছরে মিলবে পুরো পেনশন? এই সরকারি কর্মীরা পাবেন সুখবর

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য রইল জরুরি খবর। আপনিও কি অষ্টম বেতন পে কমিশন (8th Pay Commission) লাগু হওয়ার অপেক্ষা করছেন? বিশেষ করে পেনশনার? তাহলে আপনার জন্য রইল আজকের এই লেখাটি। আজ কথা হবে কমিউটেড পেনশন নিয়ে। কমিউটেড পেনশন পুনরুদ্ধারের দীর্ঘদিনের দাবি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। বর্তমানে, এই পেনশন ১৫ বছর পর পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, কিন্তু কর্মচারী সংগঠনগুলি চায় সরকার এই কমিউটেশন সময়কাল কমিয়ে ১২ বছর করুক। অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণার পর, কর্মচারীরা আশাবাদী যে সরকার এবার তাদের দাবি বিবেচনা করতে পারে।

কমিউটেড পেনশন কী?

যখন একজন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ করেন, তখন তাকে তার মাসিক পেনশন থেকে এককালীন অর্থ গ্রহণের বিকল্প দেওয়া হয়, যাকে কমিউটেড পেনশন বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি তার পেনশনের এক-তৃতীয়াংশ কমিউট করেন, তাহলে তিনি একবারে সেই পরিমাণ অর্থ পান, কিন্তু বিনিময়ে তিনি পরবর্তী ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ পেনশন পান না, বরং কিছু অংশ কেটে নেওয়া হয়।

বর্তমানে নিয়মগুলি কী?

বর্তমান নিয়ম অনুসারে, সরকার ১৫ বছরের জন্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন কেটে নেয়। অর্থাৎ, এককালীন পরিমাণ ১৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কর্মচারীরা চান যে এই ১৫ বছরের সময়কাল ১২ বছরে কমিয়ে আনা হোক, যাতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা শীঘ্রই পূর্ণ পেনশন পেতে পারেন। তারা বলছেন যে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ বছরের সময়সীমাটা ঠিক নয়।

আরও পড়ুনঃ বিলম্ব হলেও DA নিয়ে মুখে হাসি ফুটবে কর্মীদের, এল বিরাট খবর

১২ বছরে পুনরুদ্ধারের সুবিধা কী হবে?

যদি সরকার এই প্রস্তাব অনুমোদন করে এবং পেনশন পুনরুদ্ধারের সময়কাল ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১২ বছর করা হয়, তাহলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তিন বছর আগে তাদের পূর্ণ পেনশন পেতে শুরু করবেন। এর অর্থ হল তারা প্রতি মাসে আরও বেশি অর্থ পাবেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হবে। বলা হচ্ছে যে এই পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রস্তাবটি সরকারের কাছে পৌঁছেছে এবং এখন কেন্দ্রীয় সরকার এটি বিবেচনা করছে। তবে, এখনও পর্যন্ত পেনশন কমিউটেশন এবং পুনরুদ্ধারের সময়কাল সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি।