প্রীতম সাঁতরা, নয়া দিল্লিঃ উৎসবের মরশুমে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে প্রায় ৬ কোটি ব্যক্তি আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যে সমস্ত কর্মচারীদের EPFO অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সরকার তাঁদের কথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে থাকা সরকারের এটি আসলে দীপাবলির উপহার।
এই দিন থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সম্প্রতি এমপ্লয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইনসিওরেন্স (EDLI) প্রকল্পের আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। এই নতুন প্রকল্পর মাধ্যমে, ৬ কোটিরও বেশি ইপিএফও সদস্য ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা সুরক্ষা পাবেন। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
টাকার পরিমাণ বেড়ে ৭ লক্ষ টাকা
কেন্দ্র সরকার তার নেওয়া সিদ্ধান্তে আরও স্থির করেছে, প্রকল্পের আওতায় থাকা কোনো সদস্যর যদি মৃত্যু হয়, তবে তাঁর পরিবার যেন আর্থিক সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করা। EDLI প্রকল্পটি আজকের নয়, সেই ১৯৭৬ সালে চালু হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য হল ইপিএফও-র সদস্যদের বিমার সুবিধা প্রদান করা। কোনও সদস্য মারা গেলে তাঁর পরিবার কিছু আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে। এর আগে এই স্কিমে সর্বাধিক সুবিধা ছিল ৬ লক্ষ টাকা। এখন সেটা বেড়ে করা হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা।
শিথিল করা হয়েছে একটি নিয়ম
২০২১ সালের এপ্রিলে সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই প্রকল্পের অধীনে বীমা সুবিধা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই প্রকল্পে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে একটি প্রতিষ্ঠানে একটানা ১২ মাস চাকরি করার শর্ত ছিল। তবে এখন তা শিথিল করা হয়েছে। এর অর্থ হল কোনও কর্মচারী চাকরি পরিবর্তন করলেও তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন। আরও বেশি সংখ্যক লোক যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন এবং তাদের পরিবার আর্থিক সুরক্ষা গ্রহণ পেতে পারে সেই লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্তগুলো সরকার নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি বিশেষত শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যাদের আয়ের প্রধান উত্স তাদের চাকরি।
সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
মনসুখ মাণ্ডব্যের এই ঘোষণা ইপিএফও-র সদস্যদের জন্য অনেক স্বস্তি বয়ে আনবে। এই প্রকল্পটি কেবল কর্মচারীদের সুরক্ষাই বাড়াবে না, তাদের পরিবারের জন্য সুরক্ষিত ভবিষ্যতের পথও উন্মুক্ত করবে। এই পদক্ষেপ ভারতে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।