ভারত, বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান! বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এগিয়ে কে, রইল হিসেব

Published on:

foreign reserve

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: এইমুহুর্তে ভারত (India) বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলে বিবেচিত করা হয়। আশা করা যাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। আর তার জেরেই বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সম্মিলিত ভাবে বেড়েছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে অবশ্য ২০২২ সালে তা ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ‘ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট’ বাবদ আছে ৫৬৮.৮৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ভারতের পকেটে এখন সোনার রিজার্ভ আছে ৬৬.৯৭৯ বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু জানেন কি অন্য দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের মোট পরিমাণ?

বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। IMF এর হিসাব অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.২০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের দাবি, দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এখন ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বলা যায় বাংলাদেশের তুলনায় স্বভাবতই ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ অনেক গুণ বেশি। অপরদিকে ভারতের অপর প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থা আরও শোচনীয়। এমনিতেই সেখানে আর্থিক পরিস্থিতি এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই খারাপ। তার উপর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া।

পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ

পাকিস্তানের গত ৬ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে,পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র ১২.০৫ বিলিয়ন ডলার। আর নভেম্বর শেষে ভারতের ভান্ডারে ছিল ৬৫৮.০৯ বিলিয়ন ডলার। যা কি না বাংলাদেশের থেকে ৩৪ গুণ। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে তারপর থেকে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। এদিকে গত নভেম্বর মাসে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১.৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর জেরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এবং মোট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এসে দাঁড়ায় ১৪ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই নিরিখে বাংলাদেশ এখন কোনও ভাবে বর্ডারলাইনের ওপরে আছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসিনা জমানায় দু’বার ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ। বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা তখন গত কয়েক মাস ধরেই বেহাল ছিল। এই আবহে বিশ্বে অন্যতম দেউলিয়া দেশ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্বে ইউনূস সরকার তা কোনও ক্রমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের গণ্ডি পার করল।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥