প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: সময়টা ছিল ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন যে এখন থেকে পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট চলবে না। অর্থাৎ পুরোনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট সম্পূর্ণ বাতিল বলে ঘোষণা করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। পরে যদিও সেই সময় ৫০০ টাকার নতুন নোট চালু করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয় ১০০০ টাকার নোট। তার পরিবর্তে বাজারে আসে ২০০০ টাকার বড় গোলাপি নোট। কিন্তু দুই বছর আগে ২০২৩ সালে সেই ২০০০ টাকার নোটও বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)।
ভাইরাল পোস্ট
২০০০ টাকার নোটও বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই মুহূর্তে দেশের বাজারে ৫০০ টাকার নোটটাই রয়েছে এখন সকলের ঊর্ধ্বে। আপাতত এখন চালু রয়েছে ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০ এবং ১০ টাকার নোট। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার উঠে এল আরও এক নতুন চমক। ভাইরাল হয়েছে ৩৫০ টাকা এবং ৫ টাকার নতুন নোট। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে দেশবাসী। ভাইরাল পোস্টে দেওয়া সেই ৩৫০ টাকার নোটটি হালকা লাল রঙের এবং ৫ টাকার সেই নতুন নোটটির রং হুবহু ২০ টাকার নতুন নোটের মতন। তবে এই ভাইরাল পোস্টের মধ্যেও একাংশ নাগরিকের দাবি এই ছবি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
নতুন নোট প্রসঙ্গে RBI-র মন্তব্য
আর নাগরিকদের এই ভাবনাটাই এবার সত্যি হল। আসলে তিন বছর আগে ঠিক এমনই ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তখনও ঠিক এমন হুলুস্থুল কাণ্ড পড়ে গিয়েছিল। এদিকে এই ভাইরাল ছবি নিয়ে RBI অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া স্পষ্ট মন্তব্য প্রকাশ করেছে। তাঁরা জানিয়েছে যে বাজারে এখন যে নোটগুলি চলছে সেগুলিই চলবে। এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোনও নোট ছাপানো হয়নি। যদি এই ধরণের কোনও ফেক নোট কারও কাছে থাকে তাহলে সেটিকে আমল দেওয়ার কারণ নেই। এটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলেও তার কোনও গুরুত্ব নেই।
আরও পড়ুনঃ এবার হবে কাজ, সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা চলাকালীনই বড় পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের
প্রসঙ্গত, ১৯৩৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১০ হাজার টাকার নোট ছাপিয়েছিল। কিন্তু সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৯৪৬ সালে।তারপর আবার ১৯৫৪ সালে ফের ১০ হাজার টাকার নোট নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেটিও বেশি দিন স্থায়ী থাকেনি। সেটিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৯৭৮ সালে। তাই এইমুহুর্তে আপাতত একজন ৫০০ টাকার নোটটাই সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।