সহেলি মিত্র, কলকাতা: দীর্ঘদিন দিন ধরে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ (DA) সহ একাধিক ইস্যুতে বারবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তবে এরই মাঝে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে রাজ্য দেউলিয়া হওয়ার পথে। এর সঙ্গে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটে না গিয়ে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝার আহ্বান জানান। এমনকি বললেন, তাঁকে টুকরো টুকরো করে কেটে দিলেও কাউকে অতিরিক্ত টাকা দিতে পারবেন না এখন।
দেউলিয়া হওয়ার পথে রাজ্য
হায়দ্রাবাদে একটি গণমাধ্যম সংস্থার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন যে রাজ্যের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতি মাসে ২২,৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন কিন্তু তারা মাত্র ১৮,৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে সক্ষম। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বললেন, “আমাকে টুকরো টুকরো করে দিলেও, আমি ১৮,৫০০ কোটি টাকার বেশি তহবিল সংগ্রহ করতে পারব না।”
তিনি বলেন, “আমাকে বলুন আমাদের কি কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া উচিত? আমাদের কি পেট্রোলের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত? এটা ঠিক নয়। এই সময়ে বিক্ষোভ এবং অনশন সরকারের পুরো সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।” মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আর্থিক হিসাব-নিকাশ অনুসরণ করেছে এবং যেকোনো অপচয় এড়িয়ে চলেছে। তিনি বলেন, এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো, রাজ্য কর্মচারীরা প্রতি মাসের ১ তারিখে তাদের বেতন পাচ্ছেন।
DA সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা
মহার্ঘ ভাতা প্রদান-সহ ৫৭টি দাবিপূরণ করা না হলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি, সেইসব দাবি না মিটলে আগামী ১৫ মে থেকে কাজ করবেন না। আর সেই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আবেগপ্রবণ বার্তা দিলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার বিশেষ বিমানে ভ্রমণের অধিকার আছে, কিন্তু আমি মাঝে মাঝে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণ করি। আমি কখনও এটি প্রচার করিনি। দুর্ভাগ্যবশত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের সঙ্গে চোরের মতো আচরণ করছে।”
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের চতুর্থ! অর্থনীতিতে জাপানকেও টপকে যাবে ভারত, জানিয়ে দিল IMF
তিনি পূর্ববর্তী সরকারকেও আক্রমণ করেন এবং রাজ্যকে আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, “ঋণ পরিশোধ না করে বিআরএস ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে ১.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। আমরা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। দয়া করে আমাদের সাথে ধৈর্য ধরুন।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |