সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: না এ কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়, গল্পও নয়। একেবারে বাস্তব! দুবাইয়ের বুকে দিন দুপুরে ঘটে গিয়েছে এক ভয়ানক প্রতারণা (Investment Scam)। সূত্রের খবর, ‘গাল্ফ ফার্স্ট কমার্শিয়াল ব্রোকারস’ নামের এক সংস্থা রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে, আর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ এক মুহূর্তই ধুলিস্যাৎ। শত শত মানুষের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ, যার মধ্যে প্রচুর ভারতীয়ও রয়েছেন।
কোথা থেকে শুরু হলো এই প্রতারণা?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, দুবাইয়ের বিজনেস বে-র ক্যাপিটাল গোল্ডেন টাওয়ারে এই সংস্থাটি মূলত কার্যক্রম চালাত। মোটামুটি 40 জন কর্মী নিয়েই চলত তাদের কাজ। তারা প্রথমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মাতৃভাষায় কথা বলে বিশ্বাস গড়ে তুলেছিল। এমনকি বিদেশি মুদ্রায় মুনাফার লোভ দেখিয়ে বহু মানুষকে মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করায় তারা।
সূত্রের খবর, কেরালার বাসিন্দা ফায়াজ় এবং মহম্মদ নামের দুইজন ব্যক্তি এখানে 75 হাজার মার্কিন ডলার এবং 50 হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। ভারতীয় মুদ্রায় এই বিনিয়োগের মূল্য কত হবে, তা তো ভাবলেই যে কারো রাতের ঘুম উড়ে যাবে।
প্রতারণার কৌশলটি কেমন ছিল?
আসলে প্রথমে ছোট অংকের লভ্যাংশ ফেরত দিত এই সংস্থাটি। আর এভাবে তারা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিশ্বাস অর্জন করেছিল। তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রতারণা। হ্যাঁ, মোটা অংকের মুনাফার লোভে আরোও বেশি টাকা বিনিয়োগ করায় সংস্থাটি। এমনকি এক সময় সংস্থার কর্মীরা তাদের অন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সিগমা ওয়ান ক্যাপিটালে বিনিয়োগ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর এই নতুন কোম্পানির বৈধতা নিয়েও উঠতে থাকে নানারকম প্রশ্ন।
হঠাৎ বন্ধ যোগাযোগ, খালি অফিস
অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে বিনিয়োগকারীরা যখন সংস্থার অফিসে গিয়ে হাজির হয়, তখন দেখে অফিসের দরজা বন্ধ। ভেতরেও নেই কেউ। শুধু পড়ে আছে কিছু আবর্জনা, ছেড়া তার আর ধুলোর স্তর। কেউ জানেও না যে, লোকজন কোথায় গেল। আর সিকিউরিটি গার্ডের মুখে শোনা যায়, একদিন হঠাৎ করে কয়েকজন অফিসার এসে চাবি জমা দিয়ে এখান থেকে চলে যায়। সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুনঃ চিপস চুরি করেনি পাঁশকুড়ার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, CCTV ফুটেজই করে দিল সাফ! ভাইরাল ভিডিও
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
প্রসঙ্গত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পুলিশ ইতিমধ্যেই গাল্ফ ফার্স্ট এবং সিগমা ওয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, তারা কোনরকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গ্রাহকদের টাকা লুটেপুটে নিয়ে পালিয়েছে। আর এ ধরনের অনলাইন ট্রেডিং প্রতারণা দুবাইয়ের বুকে নতুন কিছু নয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসেও এরকম দুটি সংস্থা একইরকম কায়দায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাই সাধারণ মানুষজনদের উচিত এই সমস্ত প্রতারণার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা, না জেনে, না বুঝে কোনও জায়গায় বিনিয়োগ না করা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |