পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আপনি কী আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন? হলে আয়করের কিছু নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। যদিও একটা লিমিটের নিচে আয় হলে কোনো আয়কর দিতে হয় না তবে কিছু নিয়ম না মানলে আপনার কাছে নোটিশ আসতে পারে ট্যাক্স ডিপার্মেন্টের তরফ থেকে। বিশেষ করে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) ব্যবহার করেন। তাই আগেই থেকেই এই নিয়মগুলি জেনে রাখাটা প্রয়োজন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ম
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে বিলিং পিরিয়ডের পর টাকা মেটাতে হয়। তাই সাধ্যের বাইরে খরচের ক্ষেত্রে অনেকেই এটা ব্যবহার করেন। তবে এতে বড়সড় খরচ না করাই ভালো। কারণ যদি আপনি বছরে ২ লক্ষ টাকার বেশি ক্রেডিট কার্ডের দ্বারা খরচ করেন তাহলে আয়কর দফতরের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হতে পারে। এমনকি ১ লক্ষ টাকার বিল যদি কাশে পেমেন্ট করা হয় তাহলেও নোটিশ আসতে পারে।
বিদেশে বেড়ানোর সময় টাকা নিয়ে যাওয়ার থেকে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করাটাই বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন অনেকেই। তবে যদি বছরে ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি বিদেশ ভ্রমণের জন্য খরচ হয় তাহলে তাতে আয়কর দফতরের নজর পড়তে পারে।
মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ারে ইনভেস্টমেন্ট
আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার বাজারে ১০ লক্ষ টাকা এক বছরের মধ্যেই বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টার উপর আয়কর দফতরের নজর পড়বেন। এক্ষেত্রে আপনাকে নোটিশ পাঠানো হতে পারে। একইসাথে আপনার আয়ের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে।
ক্যাশ ডিপোজিট ও বড় অঙ্কের নগদ লেনদেন
অনেকেই ব্যবসার কারণে হোক বা ব্যক্তিগত কারণে ব্যাঙ্কে মোটা টাকা ফেলতে যান। এক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট হোক বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ৫০,০০০ টাকা ডিপোজিটের ক্ষেত্রে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক। আর যদি টাকা জমার অঙ্কটা ১০ লক্ষ বা তার বেশি হয় তাহলে আয়ের উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে আয়কর দফতরকে।