শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ দীপাবলিতে সরকারি কর্মীদের বড় উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পথে হেঁটে রাজ্যের তরফে সরকারি কর্মীদের এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ DA বা মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হল। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী। অবশেষে সকলের সেই দাবি পূরণ হল। তবে একেবারেই যে সে দাবি পূরণ হল সেটাও বলা যায় না। যাইহোক, আসলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সরকারি চাকরিজীবী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন।
ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্ট অনুযায়ী, ‘দীপাবলি উপলক্ষে কর্মীদের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটি ছোট্ট উপহার। সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা এবং মহার্ঘ ত্রাণ ১ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে কার্যকর করে ৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের ৬.৫০ লক্ষেরও বেশি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের উপকৃত করবে।’
ਦੀਵਾਲੀ ਦੇ ਮੌਕੇ 'ਤੇ ਮੁਲਾਜ਼ਮਾਂ ਨੂੰ ਮੇਰੇ ਵੱਲੋਂ ਇੱਕ ਛੋਟਾ ਜਿਹਾ ਤੋਹਫ਼ਾ।
01 ਨਵੰਬਰ 2024 ਤੋਂ ਸਰਕਾਰੀ ਮੁਲਾਜ਼ਮਾਂ ਅਤੇ ਪੈਨਸ਼ਨਰਾਂ ਨੂੰ ਮਹਿੰਗਾਈ ਭੱਤੇ ਤੇ ਮਹਿੰਗਾਈ ਰਾਹਤ 4 ਫ਼ੀਸਦੀ (38 ਫ਼ੀਸਦੀ ਤੋਂ ਵਧਾ ਕੇ 42 ਫ਼ੀਸਦੀ) ਕਰਨ ਦਾ ਫ਼ੈਸਲਾ ਕੀਤਾ ਹੈ। ਜਿਸ ਨਾਲ ਸੂਬੇ ਦੇ 6.50 ਲੱਖ ਤੋਂ ਵੱਧ ਮੁਲਾਜ਼ਮਾਂ ਅਤੇ ਪੈਨਸ਼ਨਰਾਂ ਨੂੰ ਲਾਭ…
— Bhagwant Mann (@BhagwantMann) October 30, 2024
এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আপনাদের সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা।’ উল্লেখ্য, আগে সরকারি কর্মীরা ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। তবে এবার থেকে সকলে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। ১ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনো অবধি কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ ফারাক ১১ শতাংশ।
উপকৃত হবেন ৬. ৫০ লক্ষেরও বেশি কর্মী
রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন পঞ্জাব রাজ্যের ৬. ৫০ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মী। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। এদিকে অষ্টম বেতন পে কমিশন নিয়েও বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২০১৪ সালে ষষ্ঠ বেতন পে কমিশন শেষ হয়ে সপ্তম বেতন পে কমিশন গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে মাঝে দশটা বছর কেটে গেলেও এখনো অবধি অষ্টম বেতন পে কমিশন নিয়ে কোনো রকম হেলদোল করতে দেখা যায়নি সরকারকে। তবে এবার মনে হচ্ছে অষ্টম বেতন পে কমিশন ও গঠন হয়ে যাবে। খুব শীঘ্রই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।