প্রীতি পোদ্দার: পুজোর মরশুমে, মোদি সরকার উপহার হিসেবে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) বৃদ্ধি ঘোষণা করেছিল। একধাক্কায় ৩ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছিল DA। অর্থাৎ এখন থেকে মোট ৫৩ শতাংশ হারে DA পাবেন তাঁরা। এর আগে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকার DA এর পরিমাণ ৪ শতাংশ বাড়িয়েছিল। তখন থেকে সকল কেন্দ্রীয় কর্মীদের DA ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হত। তার কয়েক মাছের ব্যবধানে ফের DA বৃদ্ধিতে খুশিতে ডগমগ কর্মীরা। আর এই আবহেই কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটে একের পর এক রাজ্য সরকারও তাঁদের কর্মীদের DA বৃদ্ধি করে চলেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ত্রিপুরা সরকার।
কেন্দ্রের পথেই DA বাড়াল রাজ্য সরকার!
জানা গিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রের পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সমস্ত সরকারী কর্মীদের DA এর পরিমাণ ৫ শতাংশ বাড়ানো হবে। যার ফলে মোট মহার্ঘ ভাতা একধাক্কায় ৩০ শতাংশ হবে। এর আগে ত্রিপুরায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ২৫ শতাংশ হারে DA পেতেন। কিন্তু বর্তমানে ত্রিপুরায় DA বৃদ্ধির পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক দাঁড়াল ২৩ শতাংশে। এই DA বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ত্রিপুরার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “বর্তমানে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্বেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অনেকটাই কমল কেন্দ্রের সঙ্গে DA এর ফারাক
জানা গিয়েছে, এই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হতে চলেছে। এই পদক্ষেপের ফলে ১.৬ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এবং ৮২ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন বলে আশা রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরায় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছিল তৎকালীন সরকার। তারপর থেকে একাধিকবার DA বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসেও ৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের। আর এই আবহে এবার অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ উঠে এল।
জানা গিয়েছে সম্প্রতি অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয় সরকারি কর্মীদের প্রতিনিধিদের। সেই বৈঠকে সরকারী কর্মীদের প্রতিনিধি হিসেবে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারির সচিব শিব গোপাল মিশ্র দাবি করলেন যে এবার ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ করতে হবে। যদি সরকার এই দাবিতে সবুজ সংকেত দেয় তাহলে এই আবহে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৭,৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৫১ টাকা হয়ে যেতে পারে।