প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একদিকে বাজারে পেট্রোল ডিজেলের দাম যেন আগুন ঠিক তেমনই রান্নাঘরেও জ্বলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর তার অন্যতম কারণ হল LPG সিলিন্ডারের দাম। ক্রমেই সেই দাম যেন আকাশ ছুঁয়ে চলেছে। আর এই দামের উপর কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে নামমাত্র ভর্তুকি। কিন্তু এই ভর্তুকি নিয়েও বেজায় সংকটে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। কারণ সেই ভর্তুকির টাকাও নিয়মিত বহু গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। অর্থাৎ কেন্দ্র যে ভর্তুকি দিচ্ছিল তাও এখন অনেকে পাচ্ছেন না বলে দাবি করছেন। কারণ, তাঁদের নাকি অজান্তে কোনও না কোনও কারণে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
গ্যাসের দাম চড়া হলেও মিলছে নামমাত্র ভর্তুকি!
বর্তমানে রাজ্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার অর্থাৎ ১৪ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৮২৯ টাকা। আর এই দামের ভিত্তিতে কলকাতা ও শহরতলিতে সাধারণ গ্রাহকেরা সিলিন্ডার প্রতি ভর্তুকি পান ১৯.৫৭ টাকা। আবার এর মধ্যেও অনেকে পান ৪ টাকা, আবার কেউ ১০ টাকা। আর সেই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কারোর অ্যাকাউন্টে শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে। অর্থাৎ বলা যায় কেন্দ্রীয় সাহায্য এখন চড়া দামে গ্যাসের দাম নিলেও ভর্তুকি না দেওয়ায় মতই করে দিচ্ছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
তবে অ্যাকাউন্টে গ্যাসের ভর্তুকির টাকা না ঢোকার ঘটনাটি আজকের নয়, গত বছর থেকেই হয়ে আসছে। আর সেই ভিত্তিতে গত এক বছর ধরে কোন কোন গ্রাহকের ভর্তুকি পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, তার বিস্তারিত তালিকা ইতিমধ্যেই তেল সংস্থাগুলির হাতে দেওয়া হলে সেই সংস্থা সকল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর বা বিক্রেতাদের কাছে পাঠিয়েছে। তাঁরা ওই সকল গ্রাহকদের KYC আপডেট বা সংশোধন করার নির্দেশ দেন।
কী বলছেন LPG ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি?
তবে সেক্ষেত্রে যদি কোনও গ্রাহক আর ভর্তুকি নিতে না চান, তাহলে সেটি বিস্তারিতভাবে, লিখিত প্রক্রিয়ায় জানিয়ে দিতে হবে। কিন্তু এই আবহেই প্রশ্ন উঠছে গ্যাস সংযোগের সঙ্গে আধারভিত্তিক KYC জোড়া প্রক্রিয়া চালানোর পরেও কেন গ্রাহকদের ভর্তুকি পেতে এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সর্বভারতীয় LPG ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস জানান যে, ‘‘বেশ কিছু প্রযুক্তিগত কারণে অনেকের নাম বাদ চলে গিয়েছে। এমনকি সাইবার অপরাধের সমস্যার কারণেও অনেকের নাম বাদ চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি আধারভিত্তিক যে সংযুক্তিকরণ হচ্ছে, তাতেও কিছু সমস্যা থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রকের কাছ থেকে সেই তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। চিন্তার কিছু নেই, ফের গ্রাহকদের আধারভিত্তিক KYC করা হচ্ছে।”