সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বেতন কম, অথচ ভাবছেন পার্সোনাল লোন (Personal Loan) নেবেন? হ্যাঁ, ইমারজেন্সি কোনও খরচের সময় আমাদের কাছে এই পার্সোনাল লোনই হয়ে ওঠে সবথেকে বড় ভরসা। তবে সমস্যা তখনই হয়, যখন মাসিক আয় খুবই কম! কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, মাত্র 15 হাজার টাকা আয়ের চাকরি হলেও লোন পাওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে? জানিয়ে দিচ্ছে আজকের প্রতিবেদনে।
কী এই পার্সোনাল লোন?
পার্সোনাল লোন আসলে এক ধরনের আনসিকিওর্ড লোন। অর্থাৎ, এই লোন পাওয়ার জন্য আপনার কোনোরকম গ্যারান্টি দরকার পড়ে না। আপনি চাইলে এই অর্থ বিভিন্ন খরচে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন বিয়ের খরচ, চিকিৎসা, ঘরের সাজসজ্জা, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বিদেশ ভ্রমণ সবকিছুই। আর এই লোন আপনি এককালীন অর্থ হিসাবেই পাবেন, তবে তা ফেরত দিতে হবে মাসিক কিস্তি হিসাবে এবং সঙ্গে যোগ হবে সুদ।
বলে রাখি, পার্সোনাল লোনে সব সময় ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় কম সুদ নেওয়া হয়। পাশাপাশি বড় অংকের লোম পেতে সুবিধা হয় এবং এখন গোটা প্রক্রিয়া ডিজিটাল হয়ে গেছে। তাই মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই লোন মঞ্জুর হয়ে যায়। যেমন বর্তমানে Moneycontrol-র মত নামিজাদা সংস্থা 8টি লেন্ডারের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে এই পার্সোনাল লোন দিচ্ছে।
হ্যাঁ, এখান থেকে আপনি মাত্র তিনটি কাজ করেই 50 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ, আপনাকে এখানে 10.5% হারে সুদ দিতে হবে। জানিয়ে রাখি, লোন পেতে গেলে সমস্ত ডিটেলস জমা দিতে হবে, কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে এবং EMI সেট করতে হবে। তাহলেই এই লোন অনুমোদন হবে।
15,000 টাকা মাইনে হলে কীভাবে লোন পাবেন?
জানা যাচ্ছে, এখন অনেক NBFC সংস্থা বা ডিজিটাল লোন অ্যাপ মাত্র 10,000 টাকা থেকে 15,000 টাকার মধ্যে মাসিক আয়ের কর্মীদেরও লোন দিচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে, এই ধরনের লোনের পরিমাণ একটু কম হয় এবং সুদের হার বেশি হতে পারে। তবে ব্যাঙ্ক বা NBFC প্রতিষ্ঠান তখনই লোন দেয়, যখন তারা বুঝতে পারে যে, আপনি লোন পরিশোধ করতে পারবেন।
কারা পায় পার্সোনাল লোন?
পার্সোনাল লোন পেতে গেলে অবশ্যই আবেদনকারীর বয়স 21 বছর থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হয় এবং ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি প্রাইভেট বা কোনও সরকারের সংস্থায় স্থায়ী চাকরি থাকতে হয়। শুধু তাই নয়, ইনকাম সার্টিফিকেট এবং স্যালারির সিলিপও জমা দিতে হয় এবং সিবিল স্কোর 700 বা তার বেশি হতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ১৫ হাজার বেতনে মিলবে ৫০ লক্ষ টাকা লোন! কীভাবে পাবেন দেখে নিন
কী কী ডকুমেন্ট লাগে?
পার্সোনাল লোন পাওয়ার জন্য পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হয়। পাশাপাশি ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড, বিদ্যুতের বিল বা জলের বিল জমা দিতে হয় এবং আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে স্যালারি স্লিপ এবং গত তিন থেকে ছয় মাসের ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হয়।