সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কিছুদিন আগে 10 গ্রাম সোনা (Gold Price) GST সহ প্রায় 1 লক্ষের গণ্ডি পার করে গিয়েছিল। আর এই চরম ঊর্ধ্বগতির সাক্ষী থেকেছে সাধারণ মানুষই। তবে সময় তো সবসময় একরকম যায় না। সেই সূত্র ধরেই সোনার বাজারে হাওয়া বদলের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে আবারও অল্প অল্প করে দরপতন দেখা যাচ্ছে হলুদ ধাতুর। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, এই পতন অস্থায়ী নয়! বরং, সামনে আরও বিরাট পতনের সম্ভাবনা থাকছে। আবার বেশ কিছু সূত্র দাবি করছে, 85 হাজার টাকার ঘরে পৌঁছাতে পারে 10 গ্রাম গয়না সোনা।
কেন এই দরপতন? | Gold Price Drop |
এবার অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, হঠাৎ করে কেন এরকম দরপতন হচ্ছে সোনার? আসলে পিছনে রয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক কারণ। প্রথমত, আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে যে শুল্কযুদ্ধ চলছে, তার প্রভাব বৈশ্বিক সোনার বাজারে পড়ছে। আর সেখানে চাহিদা কমে যাওয়ায় সোনার দর হু হু করে পতন হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি দুই দেশ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে আগামী 90 দিনের জন্য পণ্যের উপর শুল্ক কমানো হবে। তাই সোনাকে নিরাপদ বলে ভাবতে অনেকেই ভয় পাচ্ছে। শেয়ার বাজার বলুন, মিউচুয়াল ফান্ড বলুন বা অন্যান্য সম্পদ, এগুলির দিকে ঝুঁকি নিতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে বিনিয়োগকারীরা, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে সোনার বাজারে।
ডলার হচ্ছে শক্তিশালী
সোনার দরের এই পতনে ডলারের ভূমিকাও কিন্তু কম নয়। বর্তমানে ডলার ইনডেক্স টানা চতুর্থ সপ্তাহের জন্য শক্তিশালী হচ্ছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের বাজারে এর চাহিদা তলানিতে ঠেকছে।
সূত্র বলছে, স্পট গোল্ডের দাম বর্তমানে আমেরিকায় প্রতি আউন্সে 3210 মার্কিন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে, যা সপ্তাহের শেষে প্রায় 3% হ্রাস। আর এরকম বিরাট পতন দেখা গিয়েছিল শেষবার 2024 সালের নভেম্বর মাসে।
টেকনিক্যাল রিপোর্ট কী বলছে?
সম্প্রতি The Mint-এর প্রকাশিত একটি তথ্য অনুযায়ী, সোনা এখন 50 দিনের মোডিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে চলে এসেছে, যা 2024 সালের নভেম্বর মাস থেকে সাপোর্ট লেভেলেই ছিল। হিসাব বলছে, সোনার আন্তর্জাতিক দাম প্রতি আউন্সে 2875 মার্কিন ডলার থেকে 2950 মার্কিন ডলারের মধ্যে নেমে আসতে পারে।
আরও পড়ুনঃ TTE-কে টিকিট দেখানোর আগে দেখুন ব্যাজ, শিয়ালদা ডিভিশনে বিরাট ব্যবস্থা পূর্ব রেলের
বিনিয়োগকারীদের এখন কী করা উচিত?
বাজারের যা পরিস্থিতি, তাতে বিনিয়োগকারীদের এখন সচেতন থাকাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী হলে এই দরপতন তাদের জন্য সেরা সুযোগ হতে পারে। কারণ এখন কিনে রেখে ভবিষ্যতে মোটা অংকের লাভ পাওয়া যেতে পারে।
তবে যারা স্বল্পমেয়াদী ব্যবসায়ী, তাদের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ বাজার এখন মোটেও স্থিতিশীল নয়। তাঁদের প্রতিদিন ওঠানামার উপর নজর রাখতে হবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |