প্রীতি পোদ্দার: চলতি বছর পুজোর মরশুমে, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের DA বৃদ্ধি করেছিল মোদি সরকার। একধাক্কায় ৩ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছিল DA। অর্থাৎ মোট ৫৩ শতাংশ হারে DA পাবেন তাঁরা। আর এই আবহেই কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটে একের পর এক রাজ্য সরকারও তাঁদের কর্মীদের DA বৃদ্ধি করে চলেছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে আবার DA-র দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে লড়াই। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সকল সরকারি কর্মীদের DA এর পরিমাণ ৪ শতাংশ বাড়িয়েছিল। যার ফলে রাজ্যের কর্মীদের DA এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশ। তাতেও রাজ্য এবং কর্মচারীদের মধ্যে সংঘাত এখনও কমেনি। কারণ এখনও রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে DA এর পার্থক্য অনেকটাই। তবে এই সমস্যা যে শুধুমাত্র বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। মধ্যপ্রদেশেও সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি ইত্যাদিতে নানা সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। আর এবার এই নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন সেই রাজ্যের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট।
নয়া নির্দেশিকা জারি করল কমিশনার
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে বেতন এবং পেনশন সংক্রান্ত নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। তাই ডিএ এবং বেতন বৃদ্ধিতে বিলম্ব প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট জানিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট সময়ে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ডেটা আপডেট না হওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলি তৈরি হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এমন বাঁধার মুখোমুখি না হতে হয় তাই কর্মচারীদের তথ্য আপডেট করতে হবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে, IFMIC পোর্টালে সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের রেকর্ড রাখতে হবে। এর জন্য কর্মীদের আপডেটেড তথ্য থাকা প্রয়োজন। এটি লক্ষণীয় যে ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগ ইতিমধ্যে পরিষেবা রেকর্ড সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে যে পরিষেবার রেকর্ড বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের।
তথ্য আপডেটের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানদের
তাই সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানেরা জানিয়েছেন যে,মধ্যপ্রদেশের সমস্ত সরকারি বিভাগের কর্মীদের তাঁদের নিজেদের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, বিভাগে নিয়োগের তারিখ, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট রাখতে বলা হয়েছে। এই আপডেটেড তথ্য ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কমিশনার এবং পেনশন অধিদফতরে পাঠাতে হবে। আর তারপরেই বেতন ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, বেতন বৃদ্ধি এবং পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য জুড়ে কর্মচারীরা যে সমস্যায় পড়ছেন, তা মিটে যাবে