প্রীতি পোদ্দার: বর্তমান সময়ে চাকরির আশায় বসে রয়েছে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন চাকরির বাজারে মন্দার ছায়া দেখা যাচ্ছে। তার উপর সঙ্গ দিয়েছে দুর্নীতি। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অনেক চাকরিপ্রার্থী মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনে নিচ্ছে। যার ফলে রাজ্যে বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা যেন আরও বেড়ে চলেছে। তাই তাদের সামান্য আর্থিক সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প চালু হয়েছে রাজ্যে। যার সৌজন্যে বাংলার বেকারদের প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আর এবার এই একই পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে আরও একটি রাজ্যের সরকার।
শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, বেকারত্বের সমস্যা দেখা যায় ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্যে। যার মধ্যে অন্যতম হল হরিয়ানা। তাইতো বেকারদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য হরিয়ানা সরকার বেকারত্ব ভাতা চালু করছে। বর্তমানে সেই রাজ্যের যদি কোন যুবক বা যুবতী এখনও কোনো ধরনের চাকরি না পেয়ে থাকেন, তাহলে তারা বেকারত্ব ভাতার জন্য আবেদন করতে পারে। আর এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য রাজ্যের কর্মসংস্থান বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -এ গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে নিতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই হরিয়ানাবাসী হতে হবে। দ্বাদশ শ্রেনী পাশ, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করার পরেও যাঁরা এখনও কোনও ধরণের চাকরি পাননি তাঁরা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই প্রকল্পে মহিলা ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এবং অবশ্যই আবেদনকারীর নাম কমপক্ষে তিন বছর কর্মসংস্থান বিভাগের ওয়েবসাইটে বেকার ভাতার জন্য নিবন্ধিত হতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নথি
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র, আয়ের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত নথি, কাস্ট সার্টিফিকেট, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কপি।
কত টাকা দেওয়া হবে?
হরিয়ানা সরকার সূত্রে জন্য গিয়েছে যদি বেকার যুবক বা যুবতী দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে তাহলে তাঁদেরকে ১২০০ টাকা দেবে। স্নাতক প্রার্থীদের ২০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর প্রার্থীদের ৩৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।