পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একটা মেডিক্যাল এমার্জেন্সি এলেই রীতিমত সর্বশান্ত হতে হয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারকে। তাই স্বাস্থ্যবীমা (Health Insurance) একপ্রকার অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি পরিবারের মূল উপার্জনকারী মারা গেলেও সমস্যায় পরিবারের পড়তে হয় পরিবারের লোকেদের জীবনবীমা না থাকার কারণে। অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মত স্বাস্থ্যবীমা থেকে জীবনবীমার দামও বেড়েই চলেছে। তাই কিছুদিন আগেই সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমার উপর থেকে জিএসটি (Goods and Services Tax) প্রত্যাহার করার জন্য। এতে করে দাম কমলে আরও বেশি মানুষ হেলথ ইন্সুরেন্স ও লাইফ ইন্সুরেন্স করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যবীমাতে লাগবে না কোনো GST!
আজ অর্থাৎ সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান জানান, স্বাস্থ্যবীমা ও জীবনবীমার খরচ কমতে চলেছে। কারণ GST কাউন্সিল স্বাস্থ্য ও জীবনবীমার ক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গত ৯ই সেপ্টেম্বরের জিএসটি কাউন্সিলের মিটিংয়েই মানবিক দিক থেকে দেখে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার উপর থেকেই জিএসটি কমানোর জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, জিএসটি কমানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও সহজ করে তোলা হবে।
GST কমলে কতটা কমবে ইন্সুরেন্সের খরচ?
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে জিএসটি কমানো হলেও ইন্সুরেন্সের দাম আদৌ কমবে কি না বা গ্রাহকেরা সেই সুবিধা পাবেন কী না সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে? এর জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রিমিয়ামের অঙ্কের উপর জিএসটি চার্জ করে ফাইনাল পেমেন্ট হয়। তাই জিএসটি কমানো হলে সেটা প্রিমিয়ামের দাম কমাবে বলা যেতেই পারে। তাছাড়া গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার জেরেও দাম কমতে পারে, এতে গ্রাহকেরাই লাভবান হবেন।
সূত্রমতে, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমার ক্ষেত্রে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে বীমার অঙ্ক ৫ লক্ষের বেশি হলে তাতে ১৮% জিএসটি চার্জ করা হতে পারে।
কবে যে পরবর্তি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ শে ডিসেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠক হতে চলেছে। মন্ত্রীদের সামনে রিপোর্ট রাখা হবে ও জিএসটি কমানোর ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে।