কলকাতাঃ বেশিরভাগ মানুষই চান ধনী হতে। আপনিও চান নিশ্চয়ই? কিন্তু এমন খুব কমই মানুষ আছেন যারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হতে পেরেছেন। অনেকের কাছেই পারিবারিক ব্যবসা থাকার দরুণ ভবিষ্যতে কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না, আবার অনেকে এমনও রয়েছেন যারা শূন্য থেকে শুরু করেন। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একজন মানুষকে নিয়ে আলোচনা হবে যিনি জীবনযুদ্ধে হার না মেনে এক সময়ে ওয়েটারের কাজ করেছেন। কিন্তু এখন তাঁর নাম বিশ্বের ধনকুবেরদের সঙ্গে করা হয়। কোটি কোটি টাকার ব্যবসার মালিক তিনি। যিনি এখন ইলন মাস্ক থেকে শুরু করে গৌতম আদানি, মুকেশ আম্বানির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন।
ধনীদের তালিকায় রদবদল
খুব সম্প্রতি সারা বিশ্বের ধনীর তালিকায় বড়সড় রদবদল ঘটেছে। এতদিন যেখানে শীর্ষে ছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। এবার তাকে সরিয়ে এগিয়ে গেলেন জেফ বেজোস। কিন্তু এই তালিকায় এখন নতুন সংযোজন হয়েছে একজনের। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি এমন হবে। এই তালিকায় ১৫তম স্থানে উঠে এসেছেন জেনসেন হুয়াং নামের এক ব্যক্তি। তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে প্রবেশ করে ফেলেছেন। ৬১ বছর বয়সী ধনকুবেরের গল্প শুনলে আপনিও হয়তো নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না।
কে এই জেনসেন হুয়াং
আজ কথা হচ্ছে জেনসেন হুয়াং-কে নিয়ে যিনি কিনা Nvidia কোম্পানির সিইও। এমনিতে এখন যত সময় এগোচ্ছে এআই-এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে সেমিকন্ডাকটর চিপের চাহিদাও। এই Nvidia Corp এআই চিপ তৈরি করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। জানলে অবাক হবেন, ৬২-এর এই জেনসেন হুয়াংয়ের মোট সম্পত্তি রয়েছে ১০১ বিলিয়ন ডলারের। গত ১ বছরে তার মোট সম্পদ বেড়েছে ৫৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তিনি মার্ক জুকারবার্গকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন। Apple, Meta-র থেকেও অনেক এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
হুয়াং-এর উত্থান
জানা যায়, জেনসেন হুয়াং ১৯৬৩ সালে তাইওয়ানে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব কেটেছে তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডে। ১৯৭৩ সালে তার বাবা-মা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিছুদিন পর তারাও আমেরিকা চলে যায়। সংসার চালাতে এক সময়ে তিনি ওয়েটার হিসেবেও কাজ করেছেন। কিন্তু এখন সেসব অতীত। আজ তাঁর কোম্পানির শেয়ার হু হু করে বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক টাকা উপার্জনও করছেন।