সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা কোটি কোটি শ্রমিকদের জন্য 2021 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালু করেছিল ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card)। আর এই কার্ড শুধুমাত্র পরিচয়পত্রের জন্য নয়, বরং শ্রমিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও ভবিষ্যতা নিশ্চয়তাও দেয়।
তবে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে দিনমজুর, রিকশাচালক, গৃহশ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, অনেকেই এখনো এই প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে জানে না। অথচ এই কার্ড হাতে থাকলেই 60 বছর বয়সের পর মাসিক 3000 টাকা পর্যন্ত পেনশন মেলে, সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও থাকে।
ই-শ্রম কার্ড আসলে কী?
আসলে সরকারের এই কার্ড মূলত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ডেটাবেস হিসাবে কাজ করে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা হয়। পাশাপাশি বিপদের সময় সরকারি সুরক্ষা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই 20 কোটির বেশি মানুষ এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে।
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধাসমূহ
ই-শ্রম কার্ড থাকলে শ্রমিকরা 60 বছর বয়সের পর প্রতি মাসে 3000 টাকা করে পেনশন পায়। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে 2 লক্ষ টাকা বীমার সুবিধা এবং স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা হলে 1 লক্ষ টাকা বীমা মেলে। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর জন্য সেলাই মেশিন, সন্তানের পড়াশোনার আর্থিক সহায়তা, বিনামূল্যে সাইকেল, সবকিছুই দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়।
ই-শ্রম থেকে আসছে এসএমএস
ইতিমধ্যে ই-শ্রম কার্ডে যারা আবেদন করে ফেলেছেন বা ই-শ্রম কার্ড রয়েছে, তাদের মোবাইলে দুটি করে এসএমএস আসছে। আর এই এসএমএস-এ পরিষ্কার বলা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনার আওতায় 3000 টাকা করে পেনশন মিলছে। এর জন্য https://maandhan.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে অথবা কোনো সাইবার ক্যাফে গিয়ে আবেদন করে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই পেনশনের জন্য আবেদন করতে হলে প্রতি মাসে 55 টাকা করে কন্ট্রিবিউশন করতে হবে। অর্থাৎ, মাসে 55 টাকা করে জমা করতে হবে।
কারা আবেদন করতে পারবে?
ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি বয়স হতে হবে 16 থেকে 59 বছরের মধ্যে এবং কোনো অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। যেমন দিনমজুর, রিকশাচালক, গৃহ শ্রমিক বা কৃষক। তবে যারা আয়কর দেয় বা ইপিএফও-এর আওতায় রয়েছে, তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, এই কার্ডে আবেদন করার জন্য আধার কার্ড, আধার লিঙ্কড মোবাইল নম্বর, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবুক বা অ্যাকাউন্টের ডিটেলস এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দরকার হয়।
আরও পড়ুনঃ চিনে গিয়ে সবথেকে বিলাসবহুল Hongqi L5 গাড়ি চড়লেন মোদী! জানুন এর বিশেষত্ব ও দাম
কীভাবে আবেদন করবেন?
ই-শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য প্রথমে ই-শ্রমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://eshram.gov.in/) যেতে হবে। তারপর হোমপেজের ‘New Registration’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আধার লিঙ্কড মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি ভেরিফাই করতে হবে। এরপর ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে ফর্ম সাবমিট করে দিতে হবে। সাবমিট করার পর ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অথবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |