সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান ডিজিটাল যুগে দিনের পর দিন UPI অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে। তবে প্রযুক্তির সামান্য ত্রুটি কখনও কখনও বিরাট বিপদ (UPI Scam) ডেকে আনতে পারে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল MobiKwik-এর সাম্প্রতিক ঘটনা। মাত্র 48 ঘণ্টার মধ্যেই এই কোম্পানির 40 কোটি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে এক সফটওয়্যার আপডেট ভুলের কারণে!
কীভাবে হল এই প্রতারণা?
আসলে ঘটনার সূত্রপাত এক সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে। আপডেট হওয়ার পর দেখা যায় যে, MobiKwik অ্যাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো অচল হয়ে গিয়েছে। এমনকি ভুল পাসওয়ার্ড দিলেও বা অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও লেনদেন হয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে জালিয়াতি চক্র প্রবল উৎসাহতেই টাকা তুলতে শুরু করে।
Gurugram, Haryana: Ashok Kumar (PRO, Gurugram Police) says, “A private company, Mobikwik, suffered a loss of around ₹40 crore due to a technical failure in its mobile app. On September 13, a complaint was filed at Sector 53 police station. During a thorough investigation,… pic.twitter.com/0OEfNY4MNf
— IANS (@ians_india) September 16, 2025
হরিয়ানার নুহ এবং পালওয়াল জেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই চক্রান্তে ইতিমধ্যেই 6 জনকে গ্রেফতার করেছে। আর তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় 9 লক্ষ টাকা করে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তুলনায় এই টাকা খুবই সামান্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রায় 8 কোটি টাকা ফ্রিজ করা গেলেও এখনও পর্যন্ত 26 কোটি টাকা উদ্ধার করা যায়নি।
তদন্তকারীরা মনে করছে, এই চক্র ঠিক এতটাই জটিল ছিল যে, অভ্যন্তরীণ সহযোগিতার মাধ্যমেই ঘটানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক এবং সাইবার ক্রাইম দপ্তর একই সঙ্গে কাজ করছে, যাতে দ্রুত বাকি অর্থ পুনরুদ্ধার করা যায়। পুলিশের জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, আপডেটের পর সিস্টেমে বড়সড় সমস্যা দেখা গিয়েছিল। আর তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে বা শূন্য ব্যালেন্স থাকা সত্বেও টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিত। ফলে কোম্পানি বিরাট অংকের ক্ষতির মুখে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের পড়শিকে হাত করাই কি লক্ষ্য? শ্রীলঙ্কাকে ফের হাজার হাজর কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে চিন
কোম্পানি কী বলছে?
যদিও MobiKwik-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 14 কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি অর্থ ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সংস্থার মুখপাত্র আশ্বাস দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। তাই অবশ্যই একসঙ্গে একাধিক অ্যাকাউন্ট ইউপিআই-তে লিঙ্ক করবেন না এবং নিয়মিত নিজের ব্যালেন্স চেক করুন। সন্দেহজনক কোনও লেনদেন দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক কিংবা অ্যাপের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।