শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার শিরোনামে উঠে এলো রাজ্য সরকারের তরফে পরিচালিত লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। এমনিতেই নভেম্বর মাসে বহু মহিলার অ্যাকাউন্টে দেরি করে ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। এই নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন অবধি উঠতে শুরু করেছিল। কেউ কেউ বলতে শুরু করে দিয়েছিলেন যে এবার হয়েছে এই প্রকল্প বন্ধ করে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যাইহোক, সেই দাবীকে নস্যাৎ করে নভেম্বর মাসে একটু দেরি হলেও সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে এসবের মাঝেই এবার প্রকাশ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, বাংলার একটি জেলায় এমন বহু মহিলা রয়েছেন যারা দীর্ঘ ছয় মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। শুনে চমকে গেলেন তো এটাই সত্যি। আরো বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
৬ মাস ধরে মহিলারা পাচ্ছেন না লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা!
জানা গিয়েছে, তমলুকের কমপক্ষে ৩৫০ জন মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি। এদিকে এহেন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চমকে উঠেছেন সকলে। এক রিপোর্ট অনুসারে, তমলুক শহরের প্রায় ১৬ হাজার মহিলা রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত। কিন্তু গত প্রায় ছয় মাস ধরে ৩৫০ বেশি মহিলা সেই ভাতার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা তমলুক পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান। এদিকে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
কেন টাকা পাচ্ছেন না মহিলারা?
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অনেকে দুর্নীতির গন্ধ পেতে শুরু করেছেন। তমলুক পুরসভায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান, ওই মহিলাদের ভাতার টাকার ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, উপভোক্তা তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাতিল করা হয়েছে। তাই মে মাসের পর থেকে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েনি। ওই উপভোক্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে ফের নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। ফলে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ফের তাঁরা ভাতার টাকা পাবেন।
ভাতা না পাওয়া মহিলাদের অভিযোগ, ‘‘গত এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মাসিক ভাতার টাকা বৃদ্ধি করার কথা জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী এপ্রিল মাসের টাকা মে মাসের প্রথম দিনেই ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে’ জমা হয়েছিল। কিন্তু তার পর আর ভাতার টাকা পাওয়া যায়নি। ভাতার টাকা না পেয়ে কাউন্সিলর, পুরপ্রধান ও ব্যাঙ্কে জানিয়েছিলাম। তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু টাকা পাওয়া যায়নি। কী কারণে আমরা টাকা পাচ্ছি না, কেউ বলছেন না।’’