প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য সরকার যখন প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প শুরু করেছিল তখন সাধারণ মহিলাদের প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দিত রাজ্য সরকার। আর অন্যদিকে ১০০০ টাকা করে পেতেন তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলারা। তারপর সেটা বাড়িয়ে সব মহিলার জন্য মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের জন্য ১২০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে ২০২৬ সালের আগেই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বেড়ে হয়ে যাবে ২০০০ টাকা প্রতি মাসে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার বাড়বে টাকার পরিমাণ
আসলে গত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সাউৎখণ্ড পঞ্চায়েতের দলীয় বিজয়া সম্মেলনী সভার প্রধান বিজনবন্ধু বাগ বলেন, ‘‘ছাব্বিশের বিধানসভায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের এক হাজার টাকা বেড়ে দু’হাজার টাকা হবে।’’ শুধু তাই নয় এদিন তিনি আরো বলেন যে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা দুই হাজার না করেন তা হলে আমার গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষ্মী ভান্ডারে দুই হাজার টাকা আমিই দেব।’’ আর এই মন্তব্যই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ছাড়া আর কোনও সরকার আগে এই প্রকল্প মহিলাদের জন্য আনেনি। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভান্ডার এক অন্য জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে এই প্রকল্পে ফের টাকা বাড়ার সংবাদ পেয়ে খানিক চাপা উত্তেজনা বেড়েছে।
এছাড়াও এদিন আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাকে ঘিরেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “আরজি কর কাণ্ডের সুবিচার আমরাও চাইছি। আমাদের নেত্রী মানুষের এই আন্দোলনকে সম্মান করেছেন। কিন্তু মহিলাদের সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে।”
মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কমূলক পরিস্থিতি!
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লক এবং অঞ্চলভিত্তিক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী শুরু হয়েছে। এখানে নানা অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। তাই দলনেত্রীর নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সাউৎখণ্ড এলাকাতেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন পঞ্চায়েতের প্রধান বিজনবন্ধু বাগ এর মন্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পীযূষ পন্ডা, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক–সহ অন্যান্যরা। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধানের মন্তব্যকে ঘিরে দলের মধ্যেই এক বিতর্কমূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।