প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লিঃ: চলতি বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে নরেন্দ্র মোদী একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছিল দেশের যুব সমাজকে। আর তাদেরকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য জোর দিয়েছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা চালু করেন। আসলে কোনও ব্যবসা বা স্টার্ট আপ শুরু করতে গেলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় গ্রাহককে টাকা, সোনা বা কোনও জমির দলিল, বাড়ি, ফ্ল্যাট জমা রাখতে হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধা হল যে কোনও কিছু জমা না রেখেই ব্যবসার কাজে লোন নিতে পারবেন যুবক-যুবতীরা। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই মুদ্রা যোজনায় এবার ঋণ দেওয়ার পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হতে চলেছে।
মুদ্রা যোজনায় লোনের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে চলেছে!
আগে এই স্কিমে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা করে লোন দিত কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু চলতি বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেন যে সেই লোনের পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হতে চলেছে। আর এবার থেকে এই স্কিমে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে আজ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে এই স্কিমে কৃষি ও কর্পোরেট ব্যবসার জন্য ঋণ দেবে না সরকার। এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে চলা বেকার যুবক-যুবতীরা পাবেন লোন। আবার টাকার অভাবে যাঁরা ছোট ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারছেন না, তাঁরাও স্কিমের মাধ্যমে পাবেন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা।
২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ Pradhan Mantri Mudra Yojana-য়
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে মুদ্রা যোজনা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল, অর্থহীনদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ায় আরও অনেকে এর প্রতি আকৃষ্ট হবেন। যা প্রকল্পটিকে নতুন গতি দেবে। এই প্রকল্পে ‘তরুণ প্লাস’ বিভাগের ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তরুণ ক্যাটেগরিতে আগে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন এবং সময় মতো পরিশোধ করেছেন, তাঁরা এখানে ২০ লক্ষ টাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তার জন্য আগের ঋণের পরিশোধের সংশ্লিষ্ট নথি জমা করতে হবে।
এই যোজনার শিশু ক্যাটেগরির গ্রাহকরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়ে থাকেন। কিশোর ক্যাটেগরিতে ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। তরুণ বিভাগে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ মেলে। আর এবার সংযুক্ত হল তরুণ প্লাস। দীপাবলীর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উপহারে বেশ আপ্লুত গ্রাহকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে গ্রাহকের সংখ্যা এবার দ্বিগুণ হারে বাড়বে।