পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কথাতেই রয়েছে বয়স সংখ্যা মাত্র! এই প্রবাদ বাক্য সত্যি করে দেখালেন রাজস্থানের ভিলাওয়ারা জেলার কৃষক বিষ্ণু কুমার পারিক। প্রথাগত চাষ পদ্ধতি ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা মত জৈবিক চাষ শুরু করেন তিনি। যার ফলে আজ তিনি প্রতিবছর ১৫ – ২০ লক্ষ টাকা আয় করছেন। কীভাবে সম্ভব হল আর কীভাবে আপনিও করতে পারবেন? সমস্তটা রইল আজকের প্রতিবেদনে ।
জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ
জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ হল কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার না করে জৈব সার ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে চাষ। এক্ষেত্রে জমি উর্বর করতে সার হিসাবে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়। এর জন্য গরুর গোবরের সাহায্য নেওয়া হয়। তাতে কেঁচো ছেড়ে দেওয়ার পর কেঁচো ভার্মি কম্পোস্ট তৈরী করে। সেটাই জমিতে সারের কাজ করে।
একইসাথে যদি আপনি গ্রিন হাউস ঘর বানিয়ে চাষ করতে পারেন তাহলে লাভের অঙ্ক অনেকটাই বেশি হবে। এক্ষেত্রে একবার বিনিয়োগ করলেই নিজের পছন্দমত যে কোনো ফসল ফলানো যেতে পারে। আর তা থেকেই লক্ষাধিক টাকার আয় হবে। রাজস্থানের বিষ্ণুবাবুই শশা চাষ করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। আপনি চাইলে একইভাবে গম, কার্পাস, জোয়ার থেকে শুরু করে ফল কিংবা ফুলও চাষ করতেই পারেন।
জৈবিক পদ্ধতিতে গ্রিন হাউস চাষেই লক্ষাধিক টাকার উপার্জন
জানলে অবাক হবেন, বিষ্ণু কুমার পারিক প্রথমে গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন যার জন্য সরকারের তরফ থেকে মোটা টাকা অনুদান পেয়েছিলেন তিনি। মোট ৪০৪৮ বর্গমিটার জায়গায় গ্রিন হাউস ঘর তৈরির জন্য ৪২ লক্ষ ২৪ হাজার ৪০০ টাকার ১৮ লক্ষ ৬১ হাজার ২০০ টাকা তিনি নিজে খরচ করেছিলেন বাকি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন। বর্তমানে সেখানেই প্রতিবছর ১০০ টন শশা চাষ করেন তিনি।
বাজারে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করার পর বছরে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাভ থাকে তাঁর। অর্থাৎ প্রতিমাসে প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করেন তিনি। ইতিমধ্যে নিজের সফলতার কাহিনী সকলের সাথে শেয়ার করে বাকিদের প্রশিক্ষণও দেন দিতে শুরু করেছেন তিনি। তার মতে গ্রামের আরও কৃষকদের এই নতুন পদ্ধতির চাষ শিখে নেওয়া উচিত যাতে সহজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব হবে।