শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: রেপো রেট (RBI Repo Rate), এই শব্দ জোড়া অনেকেই শুনেছেন। অর্থনীতির একটা টার্ম। এই রেপো রেটের হার হার নাকি কমতে চলেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের কি বাড়তি কোনো সুবিধা হবে? সহজ কথায় বুঝে নেওয়া যাক।
রেপো রেট নিয়ে ফের বড় সিদ্ধান্তের পথে RBI
রেপো রেট একটা সূচক, যার সাহায্যে বিভিন্ন ঋণের ওপর সুদের হার নির্ণয় করা হয়। রেপো রেট যদি কমে, তাহলে লোনের ওপর সুদের হার কমার সম্ভবনা রয়েছে। একইভাবে মাসে মাসে EMI দেওয়ার চাপ থেকেও কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
এসবিআই রিসার্চ ইকোর্যাপের মতে, ২০২৫ সালে আরবিআই রেপো রেট মোট ০.৭৫% কমাতে পারে। এপ্রিল, জুন এবং অক্টোবরের আসন্ন নীতিগত বৈঠকে ও রেট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও চূড়ান্তভাবে এখনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি। আর্থিক বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ৩.৯ শতাংশ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যেটা অনুমান করা হচ্ছে, সেটা যদি বাস্তবে প্রফলিত হয় তাহলে আগামী দিনে গৃহঋণ , ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ি ঋণ, শিক্ষা ঋণ সহ সকল ধরণের ঋণের ওপর থেকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকবে। মুদ্রাস্ফীতির পতনের ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ?
এসবিআই রিসার্চ ইকোর্যাপর মতে, “এই মাসে এবং আগামী মাসগুলিতে ধীরগতির মুদ্রাস্ফীতির ফলে, আমরা এই চক্রে মোট রেপো রেট ০.৭৫ শতাংশ কমানোর আশা করছি। এপ্রিল এবং জুনের পরবর্তী নীতিগত বৈঠকে ধারাবাহিকভাবে হার কমানোর আশা করা হচ্ছে। এর পরে, ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে আবার হার কমানোর একটি নতুন চক্র শুরু হতে পারে।
মূলত খাদ্যদ্রব্যের দামের পতনের কারণে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। খাদ্য ও পানীয়ের মূল্যস্ফীতি ৩.৮৪ শতাংশে নেমেছে, কারণ সব্জির দামেও পতন লক্ষ্য করা গেছে।