প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সঠিক নিয়ম না মানলেই যে RBI বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া লাইসেন্স (RBI Licence) বাতিল করে দেয় সেই উদাহরণ এর আগে আমরা অনেক পেয়েছি। গ্রাহকদের স্বার্থে কথা ভেবে অনেক সমবায় সংস্থা বা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর এই আবহে ফের অনিয়মের অভিযোগে কলকাতার 5 সংস্থার বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিল করল RBI। একনজরে সম্পূর্ণটা দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কলকাতার 5 সংস্থার লাইসেন্স বাতিল RBI-এর!
RBI এর বিবৃতি সূত্রে জানা গিয়েছে 2008 সালের 13 মার্চ ওফিন লিসিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে লাইসেন্স পেয়েছিল। কিন্তু 1934 সালের আরবিআই আইনের সেকশন 45-আইএ(6) অনুযায়ী সেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে 1999 সালের 9 সেপ্টেম্বর আউটরাম প্রপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেড রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে লাইসেন্স পায়। কিন্তু সেই লাইসেন্সও একই কারণে বাতিল হতে গিয়েছে।
নিয়ম না মানায় বাতিল লাইসেন্স
এছাড়াও তালিকায় কলকাতার আরও তিনটি ব্যাঙ্ক রয়েছে। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতার যে 5 নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল সংস্থাগুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এসসিএম হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থা 1999 সালের 24 সেপ্টেম্বর লাইসেন্স পেয়েছিল। সেটিও আরবিআই আইনের সেকশন 45-আইএ(6) অনুযায়ী বাতিল হয়েছে। এবং চতুর্থ সংস্থাটি হল কলস ব্যাপার প্রাইভেট লিমিটেড, তারা লাইসেন্স পায় 2005 সালের 30 ডিসেম্বর।
ওড়িশার সংস্থারও বাতিল হল লাইসেন্স
এছাড়াও এভারেস্ট বিনিময় প্রাইভেট লিমিটেডও বাতিলের তালিকায় রয়েছে। যেটি 2006 সালের 6 ফেব্রুয়ারি লাইসেন্স পেয়েছিল। তবে শুধু কলকাতার এই 5 সংস্থা নয়, এছাড়াও ভুবনেশ্বরের অধিকার মাইক্রোফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেডের লাইসেন্সও বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেটিও 1934 সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আইনের সেকশন 45-আইএ(6) অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে পড়ুয়াদের সহায়তায় থাকবে এবার AI চ্যাটবট ‘বীণা’! উদ্যোগ শিক্ষা দফতরের
প্রসঙ্গত, দেশের ব্যাঙ্কগুলোই যে শুধুমাত্র ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনে কাজ করে এমন নয়, নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল সংস্থাগুলোও পড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অধীনে। আর তাদের অধীনে থাকা সংস্থাগুলো যদি কোনও নিয়ম না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই সেক্ষেত্রে আপনি যদি এই লাইসেন্স বাতিল সংস্থায় টাকা জমা করে থাকেন তাহলে শীঘ্রই সাবধান হোন।