প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে EMI অথবা মাসিক কিস্তি খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রাহকদের কাছে। খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সুদ সমেত মাসিক কিস্তির অঙ্ক গোনা। তার উপর আবার নির্দিষ্ট সময়ে ধার শোধ করার নিয়মও রয়েছে। যার ফলে চড়া সুদের কারণে ধার শোধের মাসিক কিস্তির বোঝা বিপুল বেড়েছে ঋণগ্রহীতাদের। আর এই সমস্যা দিনে দিনে বড় আকার ধারণ করছে। এই আবহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা সাধারণ গ্রাহকদের কাছে যথেষ্ট সুবিধাজনক।
EMI নিয়ে বড় নির্দেশ RBI-র!
২০২৩ এর আগস্ট মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক EMI অথবা মাসিক কিস্তি নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল ঋণ গ্রহীতারা যদি পরিবর্তনশীল সুদে ঋণ নিয়ে থাকে, তাঁকে সেই ধার স্থায়ী সুদের হারে শোধের সুযোগ দিতে হবে। সে জন্য কোনও বাড়তি চার্জ বা ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে না। তবে যদি কোনও কারণে কেউ EMI দিতে না পারে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাহলে জরিমানা হিসেবে বাড়তি সুদ না চাপিয়ে বরং থোক টাকা গোনার সুযোগ দিতে হবে। তবে এই গোটা পদ্ধতি ঋণগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করতে হবে। পাশাপাশি আগামী দিনে ধার মঞ্জুর করার সময়ে সুদ বাড়লে, গ্রাহকের উপর কতটা চাপ পড়তে পারে এবং মাসিক কিস্তি এবং শোধের মেয়াদের সম্ভাব্য বৃদ্ধি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে গ্রাহককে জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ফের এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে স্থায়ী সুদের সুবিধা
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার EMI বা মাসিক কিস্তি সংক্রান্ত ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছে আরবিআই বা RBI। সেখানে প্রত্যেক ব্যাঙ্ককে জানানো হয় যে এখন থেকে ঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তিতে ঋণ শোধ করার পরিবর্তে সব ধরণের ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে স্থায়ী সুদের সুবিধা দিতে হবে। ব্যাঙ্কের নিজের ঠিক করা সুদের হার অথবা বাইরের মাপকাঠির ওপর নির্ভর করে ধার্য সুদের হার, দু’ক্ষেত্রে ওই নিয়ম খাটবে। এ ছাড়া, ঋণ দেওয়ার সময় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থা নথিতে কী কী তথ্য গ্রাহককে জানানো হবে তাও বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকদের দেওয়া ওই নথিতে বাধ্যতামূলক ভাবে ঋণের অঙ্ক, সুদও উল্লেখ করতে হবে।
এছাড়া ঋণ সম্পর্কে গ্রাহকদের নানা তথ্য মনে খতিয়ে দেওয়ার জন্য আগামী ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্রাহককে আপডেট দিতে হবে। কত দিন পর্যন্ত সুদ-সহ ঋণ শোধের অঙ্ক বাকি থাকছে। শোধ হওয়া টাকার পরিমাণ এবং বাকি বার্ষিক সুদের হার এর পরিমাণ সম্পর্কে গ্রাহকদের জানাতে হবে বলে জানিয়েছে RBI। এমনকি সুদ বা কিস্তির পরিমাণ বদলাল কি না, তা-ও জানাতে হবে গ্রাহককে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |