মানুষ ছোট বয়স থেকে আজ অবধি, বিভিন্ন রূপ এবং রঙে ভারতীয় নোট দেখছেন। এখনও তা পরিবর্তন হতে থাকছে। কখনও নতুন নোট বা কয়েন আসছে তো কখনও পুরনো নোট, কয়েন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে এই নিয়ে মানুষের অসুবিধার শেষ নেই। যেমন এখন সকলের মাথা ব্যাথার অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে ১০ টাকার নোট।
বাসে, ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে রিকশা, অটোতে এখন এই ১০ টাকার নোট নিয়ে নিত্যদিন ঝামেলা বেঁধেই থাকে অনেকের। এতবার এই টাকা হাতবদল হয় যে নষ্ট হয়ে যায়। ভারতে কাগজের নোটেরই প্রচলন বেশি। যে কারণে অত্যাধিক ব্যবহারের কারণে নোংরা বা ছিঁড়ে যায়। তবে আপনি জানলে আকাশ থেকে পড়বেন যে, RBI থেকে ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ বা ৫০০ টাকার নতুন নোট ব্যাঙ্কগুলি পেলেও ১০ টাকার নোট একদমই নিষিদ্ধ। ফলে এখন পুরনো নোট বা ১০ টাকার কয়েন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
১০ টাকার নোট নিয়ে কী বলছে RBI?
আপনার কাছেও কি এই ১০ টাকার নোট রয়েছে? তাহলে আপনার জন্য রইল এক জরুরি খবর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপনারও যদি বিকৃত বা খারাপ নোট থাকে, তাহলে আপনার মোটেও আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। আরবিআই এবং কোনও ব্যাঙ্ক এই জাতীয় নোট নিতে অস্বীকার করতে পারে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, বিকৃত বা খারাপ নোট বদল করা যায়। আপনার মনে কি কখনও প্রশ্ন জেগেছে যে এই ১০ টাকার নোটগুলি তৈরি করতে আরবিআই-এর কত খরচ হয়?
আরও পড়ুনঃ বাদ স্টার্ক, রিঙ্কু! RCB-র বিরুদ্ধে বড় পরিবর্তন দলে, রইল KKR-র সম্ভাব্য একাদশ
এই দশ টাকার নোট তৈরি করতে RBI-এর খরচ হয় মাত্র ১.০১ টাকা। হ্যাঁ একদমই ঠিক শুনেছেন। একটি কয়েন মিন্ট করতে ৫.৫৪ টাকা খরচ হয়। ব্যাঙ্কগুলির পুরো ফোকাস ১০ টাকার কয়েনের উপর যাতে তাদের প্রচলন বাড়ে এবং দশ টাকার নোট ছাপানোর খরচ বাঁচানো যায়। এখনও কিন্তু বাজারে ১০ টাকা বা ১০ টাকার কয়েন প্রচলিত রয়েছে। আরবিআই-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১৪৭ কোটি ১০ টাকার নোট, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মাত্র ১২৯ কোটি ১০ টাকার নোট এবং পরের অর্থবর্ষে ৭৫ কোটি ১০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। অর্থাৎ এই নোট ছাপানোর মাত্রা ক্রমেই কমে আসছে।