সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ রোজভ্যালি কাণ্ডে (Rose Valley Scam) নয়া মোড়। এবার এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যার দরুন রোজভ্যালিতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হতে চলেছেন। এবার এক ধাক্কায় ৭.৫ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করল কেন্দ্রীয় সরকার। সকলকে দেওয়া হবে ৫১৫ কোটি টাকা। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
রোজভ্যালি কাণ্ডে নয়া মোড়
কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, ৫১৫.৩১ কোটি টাকার ডিমান্ড ড্রাফটটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ কুমার শেঠের হাতে হস্তান্তর করেছেন, যিনি সম্পদ নিষ্পত্তি কমিটির (ADC) চেয়ারম্যান। মূলত কেলেঙ্কারিতে আটকে পড়া বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থের মাধ্যমে প্রায় ৭.৫ লক্ষ মানুষ তাদের টাকা ফেরত পাবেন। এর আগেও, ADC-কে ২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, যার মাধ্যমে ৩২,৩১৯ জন বিনিয়োগকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল বলে খবর।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইডির বড় পদক্ষেপ
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রোজ ভ্যালি গ্রুপের টাকার সন্ধানে ইডি ২,৯৮৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সনাক্ত করে যেখানে জালিয়াতিপূর্ণ অর্থ জমা করা হয়েছিল। সময়কালের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং সেগুলি থেকে প্রায় ৭০০টি এফডি হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। এই এফডিগুলির মূল্য ৫১৫.৩১ কোটি টাকা, যা এখন বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে এক এক করে। এছাড়াও, ইডি রোজ ভ্যালি গ্রুপের ১,১৭২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে। এই সম্পত্তিগুলিও শীঘ্রই বিক্রি করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ইডির তদন্তে জানা গেছে যে রোজ ভ্যালি গ্রুপ ১৭,৫২০ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে। কোম্পানিটি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকদের কাছ থেকে জমি, হোটেলে সময় ভাগাভাগি অথবা উচ্চ সুদের হারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই জমি পাননি বিনিয়োগকারীরা, এমনকি কাউকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ৬,৬৬৬ কোটি টাকা এখনও বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ চিঠির এক ভুলে চোরের বদলে বিচারককেই গ্রেফতার করতে দৌড়ল পুলিশ
টাকা ফেরত এভাবে আবেদন করুন
রোজ ভ্যালি কেলেঙ্কারির তদন্ত পিএমএলএ (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন) এর অধীনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আসাম এবং ত্রিপুরায় পাঁচটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইডির সহায়তায়, সম্পদ নিষ্পত্তি কমিটি এখন দ্রুত সম্পত্তির মূল্যায়ন, সার্ভে এবং নগদীকরণ করছে যাতে বিনিয়োগকারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ ফেরত দেওয়া যায়। এখন পর্যন্ত, প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষ www.rosevalleyadc.com- এ তাদের দাবি রেজিস্টার করেছেন । আগামী মাসগুলিতে ফেরত প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |