সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে, যা সম্পূর্ণ দাবিহীন (Unclaimed Money)। মোদ্দা কথা, এই টাকাগুলির কোনওরকম মালিক নেই। অর্থাৎ, যার টাকা সে দাবি করছে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমন সম্প্রতি জানিয়েছেন, এই মুহূর্ত দেশের ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে মোট 1.84 লক্ষ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে, যার কোনও দাবিদার নেই বা মালিক নেই।
এদিকে সরকার এই দাবিহীন অর্থ নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। জানা যাচ্ছে, এর অংশ হিসেবে ‘আপকি পুঞ্জি, আপকা অধিকার’ নামের একটি অভিযান চালু করা হয়েছে। আর তিন মাস ধরেই এই সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চলবে, যেখানে নাগরিকদের ডিপোজিট, ইন্সুরেন্স বা মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত টাকা ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া শেখানো হবে।
Union Finance Minister @nsitharaman launches the nationwide ‘Aapki Punji Aapka Adhikar’ campaign from Gandhinagar, Gujarat.
The crucial initiative aims to ensure the speedy settlement & rightful return of unclaimed financial assets across the system to legitimate claimants.
FM… pic.twitter.com/HTvMFfgrfp
— DD News (@DDNewslive) October 4, 2025
কীভাবে ফেরত পাওয়া যাবে টাকা?
জানা যাচ্ছে, ডরম্যান্ট ডিপোজিট বা লম্বা সময় ধরে অপ্রয়োজনীয় ভাবে রেখে দেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়ারর নিয়ম শেখানো হবে এই ক্যাম্পেইনে। এছাড়া ইন্সুরেন্স প্রোসিড, ডিভিডেন্ট বা মিউচুয়াল ফান্ড ব্যালেন্স কীভাবে ক্লেইম করতে হবে তা ডিজিটাল মাধ্যমে শেখানো হবে। কারণ সঠিক নথি ও তথ্য প্রদান করলে সরকার সেই টাকা নাগরিকদের হাতে পৌঁছে দেবে। অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামন বলেছেন, এটি শুধুমাত্র কাগজের কোনও নথি নয়, বরং সাধারণ মানুষের অর্জিত অর্থ, যা বিভিন্ন খাতে কাজে লাগতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতিদের গুলিতে ঝাঁঝরা ISIS K-র কুখ্যাত কমান্ডার
আর যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই টাকাগুলি মূলত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোতে জমা রয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাকাউন্টস, পেনশন ফান্ড, বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও মিউচুয়াল ফান্ডের কাছেও জমা রয়েছে এই টাকা। তাই সরকার চাইছে, নাগরিকরা নিজেদের অর্থ যাতে নিজেরাই ফেরত পায়, তার জন্য সহায়তা করতে। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত টাকা ফেরানো নয়, বরং দেশের আর্থিক সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।